বিশেষ সংবাদদাতা : বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ টঙ্গীর আশপাশ এলাকায় ঢেলে সাজানো ট্রাফিক ব্যবস্থার কারণে ভোগান্তি থেকে অনেকটাই রেহাই মিলেছে। ইজতেমায় আগত মুসল্লিরা এজন্য পুলিশের প্রশংসা করেছেন। গতকাল রোববার আখেরী মোনাজাতে যোগ দিতে এবং মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের ফিরতে তেমন অসুবিধা হয়নি। এজন্য মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা পুলিশের প্রশংসা করেছেন। জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আবদুর রাজ্জাক গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, ডিএমপির কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়েছিলাম। আগের রাত থেকে গতকাল সারাদিন ট্রাফিক পুলিশ কঠোর পরিশ্রম করে মুসল্লিরা যাতে নিরাপদে ইজতেমার মাঠের কাছাকাছি আসতে পারে এবং মোনাজাত শেষে ঘরে ফিরতে পারে সেজন্য ট্রাফিক পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। যুগ্ম কমিশনার বলেন, আমি নিজেও ১০/১২ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছি। আমার সাথে ট্রাফিক পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারাও ছিলেন। তারাও কঠোর পরিশ্রম করেছেন।
যুগ্ম কমিশনার আবদুর রাজ্জাক বলেন, মুসল্লিদের ভোগান্তি যাতে না হয় এজন্য আমরা নতুন কিছু ডাইমেনশন কার্যকর করেছি। এর মধ্যে ছিল বড় বড় গাড়িগুলোতে চলতে দেয়া হয়নি। সেগুলো ইজতেমার মাঠ থেকে দূরে ফাঁকা স্থানে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। ছোট ছোট গাড়িগুলোতে ইজতেমার মাঠের কাছাকাছি পর্যন্ত যেতে দেয়া হয়েছে। মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘেœ পায়ে হেঁটে আসতে পারে এবং ফিরতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিএমপি ছাড়াও গাজীপুরসহ ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতেও যাতে গাড়িগুলো রাস্তার উপর না দাঁড়াতে পারে অথবা যানজট সৃষ্টি না হয় সে ব্যবস্থা করা ছিল। সব কিছু মিলিয়ে ইজতেমা উপলক্ষে ট্রাফিক ব্যবস্থা ছিল খুবই কার্যকর। এবারের ইজতেমার ট্রাফিক ব্যবস্থা প্রশংসা পেয়েছে শুনে ট্রাফিক পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, ইজতেমার মুসল্লিদের ভোগান্তি যাতে না হয় সেজন্যই আমাদের যতো কর্মতৎপরতা ছিল। ডিএমপির কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনাই আমরা বাস্তবায়ন করেছি মাত্র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন