শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

জিকির আযগারে টঙ্গীর তুরাগ তীর মুখরিত : বৃহত্তম জুমার নামাজ আদায়

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২০, ৫:২০ পিএম

টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব মুসলিমের দ্বিতীয় বৃহওম ধমীয় সমাবেশ তাবলীগ জামায়াতের ৫৫ তম বিশ্ব ইজতেমা শুকবার থেকে শুরু হয়েছে।

মুসুল্লিদের জিকির আযগার ও আমিন আমিন ধ্বনিতে টঙ্গীর তুরাগ তীর এখন মুখরিত। দেশবাসির নজর এখন টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার দিকে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ইজতেমা মুখি মুসুল্লিদের ঢল অব্যাহত রয়েছে। তাদের এ ঢল অব্যাহত থাকবে আখেরি মোনাজাতের আগ পযনত।

প্রথম দিনে শুক্রবার লাখো মুসল্লি একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। তাবলিগ জামাতের মুসল্লি ছাড়াও ঢাকা, উত্তরা, টঙ্গী ও গাজীপুরসহ আশপাশের লাখ লাখ মুসল্লি জুমার নামাজে অংশ নেন।

দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে ইজতেমা ময়দানে।

ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজে খুতবা পাঠ শুরু হয় দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে। নামাজ শুরু হয় ১টা ৪০ মিনিটে। এতে ইমামতি করেন রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের। দেশ ও জাতির শান্তি-সমৃদ্ধি কামনার পাশাপাশি মুসল্লিদের কণ্ঠে ছিলো ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান।

দুপুর ১২টার আগেই ইজতেমার পুরো ময়দান পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠে স্থান না পেয়ে অনেক মুসল্লিরা বাড়ির ছাদ, নৌকা, গাড়ির ছাদে মহাসড়ক ও অলি-গলিসহ যে যেখানে সম্ভব করতে পেরেছেন সেখানেই পাটি, চটের বস্তা ও খবরের কাগজ বিছিয়ে জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন। এর আগে সকাল থেকে ইজতেমামুখী মানুষের স্রোত নামে টঙ্গীর তুরাগ তীরে। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মুসুল্লিরা জুমার নামাজে শরিক হন।

শুকবার ফজরের পর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়। জুমা বার হওয়ায় নামাজের আগেই ইজতেমার পুরো প্যান্ডেল ও ময়দান কানায় কানায় ভরে যায়। প্যান্ডেলের নিচে জায়গা না পেয়ে মুসল্লিরা অবস্থান নেন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ আশেপাশের সড়ক, গলি ও ফুটপাথগুলোতে।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লির উদ্দেশ্যে যথারীতি তাবলীগের ছয় উসূল অর্থাৎ কালেমা, নামাজ, এলেম ও জিকির, একরামুল মুসলিমিন, সহীহ নিয়ত ও তাবলীগ বিষয়ে আমবয়ানের মাধ্যমে ইজতেমার প্রথম পর্বের ৩দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।


ইজতেমা ময়দানের মুরব্বী প্রকৌশলী মফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার বাদ ফজর থেকে শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ খুরশীদ আম বয়ান করেন। এসময় বাংলায় বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল মতিন। মূল বয়ান উর্দূতে হলেও ইজতেমায় আসা বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের জন্য স্ব স্ব ভাষায় তাৎক্ষণিক বয়ান তরজমা করা হয়। প্রতিবারের মতো এবারও বিশ্ব ইজতেমায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তাবলিগ মারকাজের শুরা সদস্য ও বুজর্গরা বয়ান পেশ করছেন। মূল বয়ান উর্দূতে হলেও তাৎক্ষণিকভাবে বাংলা, ইংরেজী, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে । বিদেশি মুসল্লিদের জন্য বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের উত্তর-পশ্চিম পাশে নিবাস তৈরি করা হয়েছে। ইজতেমায় বিভিন্ন ভাষাভাষি মুসল্লিরা আলাদা আলাদা স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে ইজতেমার প্রথম পর্ব। এর পর ৪ দিন বিরতি দিয়ে ১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন