পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে কথিত এক ডাকাত নিহত হয়েছে। এ সময় র্যাবের ২ জন সদস্য আহত হন বলে র্যাব জানায়। গতকাল সোমবার ভোরে সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের হলুদঘর গ্রামে এই বন্দুকযুদ্ধ সংঘটিত হয়। নিহতের ব্যক্তির নাম আব্দুর রাজ্জাক (৪২)। সে কাশীনাথপুর ইউনিয়নের বিলসলঙ্গি গ্রামের নুরেল ইসলাম নুরুর পুত্র। র্যাবের পাবনা কোম্পানি কমান্ডার বীনা রাণী দাস (এ্যাডিশনাল এসপি) জানান, ১৬ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ২টায় র্যাব-১২, সিপিসি-২, পাবনার রাত্রিকালীন টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সাঁথিয়া থানাধীন হলুদঘর এলাকায় ব্রীজের নিচে ১০/১২ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই সংবাদের ভিত্তি যাচাইয়ের জন্যে রাতে পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানাধীন হলুদঘর এলাকায় ব্রীজের নিচে পৌছলে সশস্ত্র ডাকাত দল র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাথারী গুলি বর্ষণ শুরু করে। র্যাবও পাল্টা গুলি বর্ষণ করে। এভাবে প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট পাল্টা-পাল্টি গুলি বর্ষণ চলতে থাকে। এরই এক পর্যায় সশস্ত্র ডাকাতরা পিছু হটে এবং পালিয়ে যায়। তখন স্থানীয় লোকজনসহ র্যাব সদস্যগণ হলুদঘর গ্রামের ইছামতি নদীর উপর হলুদঘর থেকে গোপালপুর ব্রিজের পূর্ব-দক্ষিণ পাশে টিনের ছাপড়া নিচে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। র্যাব গুলিবিদ্ধকে দ্রæত পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত গোলাগুলির ঘটনায় ২ জন র্যাব সদস্য আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল হতে সন্ত্রাসীদের ফেলে যাওয়া ১টি বিদেশী পিস্তল, ১ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগাজিন, ২টি চাপাতি, ১টি শাবল, ১টি হ্যামার, ১টি লক কাটার, ১টি বড় স্ক্রু ড্রাইভার, বিভিন্ন সাইজের ৮টি বাঁশের লাঠি এবং ৮ জোড়া বিভিন্ন রংয়ের স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ ও হাসপাতালে উপস্থিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনের কাছ হতে তার নাম ও ঠিকানা মোঃ রাজ্জাক আলী (৪৩), পিতা-মোঃ নুরেল, গ্রাম-কাশিনাথপুর, উপজেলা ও থানা-সাঁথিয়া, জেলা-পাবনা বলে জানা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন