পাবনা জেলা সংবাদদাতা : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় ইছামতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করায় ব্রিজ ও বাঁধ হমকীর সম্মুখীন হয়েয়ে পড়েছে। সূত্র মতে, নির্মাণাধীন মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ঠিকাদারের লোকজন ইঞ্জিনচালিত ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান সেচখাল ইছামতি নদীর তলদেশ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তলোন করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের জন্য খাল ভরাট করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলা মুক্তিাযোদ্ধা সংসদের ৩ তলা ভবনের নির্মাণাধীন প্রকল্পের জায়গায় খাল ভরাটের জন্য বালি বাইরে থেকে নিয়ে আসার কথা থাকলেও তা না এনে ইছামতি নদীর তলদেশ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করছে ঠিকাদারের লোকজন। এর ফলে প্রকল্পের দু’পাশের বাঁধ ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে ইছামতি ব্রিজটি। প্রধান সেচখালের বাঁধ ভেঙে বা ধ্বসে গেলে পানিতে বির্স্তীর্ণ এলাকার মাঠের ফসল তলিয়ে যাবে এবং জনবসতিতে পানি প্রবেশ করে বন্যা মওসুমে মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দেবে। সেচকার্য ও মৎস্য চাষ ব্যহত হয়ে পড়বে। নদীর যেখানে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তার একপাশে রয়েছে সাব ক্যানেলের প্রবেশ দ্বার ¯øুইসগেট অন্যদিকে ইছামতি ব্রিজটি যা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়ছে। সরকার যেখানে বাঁধ দিয়ে ফসলী জমি রক্ষায় তৎপর সেখানে অবৈধভাবে বালি উত্তলোন করে প্রধান সেচখালের বাঁধও ব্রিজকে হুমকির মধ্যে ফেলায় এলাকাবাসী মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। বেড়া পানি উন্নয়নবোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ জানান, অতি দ্রæত এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন। এ ব্যাপরে উপজেলা প্রকৌশলী ওয়ালিয়ার রহমান জানান, তাদের বালি বাইরে থেকে নিয়ে আসার কথা। ইছামতি নদী থেকে বালি উত্তোলন করার কথা নয়। সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহাঙ্গীর আলম বিভিন্ন সূত্র থেকে বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্যেগ নেবেন বলে জানা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন