চট্টগ্রাম ব্যুরো : আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে খরচসাশ্রয় ও সময় কমিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরকে আরও বেশি গতিশীল করতে ১৫ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম বন্দর প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আমদানি-রফতানিকারকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক নীতি) মো. ফরিদ উদ্দিন। তিনি বলেন, এসব সিদ্ধাস্ত বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশ আকারে অর্থ মন্ত্রণালয় ও নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর দুই মন্ত্রীর অনুমোদন নেয়া হবে।
বৈঠকে বন্দর ব্যবহারকারীরা জানান, বতর্মানে বন্দরের পরিচালন কার্যক্রম দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকলেও প্রশাসনিকসহ অন্যান্য কার্যক্রম সপ্তাহে পাঁচ দিন সচল থাকে। আবার কাস্টমস হাউসে রফতানি কার্যক্রম সাত দিন সচল থাকলেও আমদানি কার্যক্রম সাধারণত পাঁচ দিন সচল রয়েছে। এ কারণে সার্বক্ষণিক খোলা না থাকায় পণ্য খালাসেও বিলম্ব হয়। ব্যবহারকারীদের এ দাবির পর বন্দর ও কাস্টম হাউস সপ্তাহের ছয় দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
বন্দর ও কাস্টম হাউসের পরিচালন কার্যক্রম বিষয়ক সমস্যা সমাধান করতে বন্দরের বোর্ড সদস্য (হারবার ও মেরিন) পদের কর্মকর্তাকে আহŸায়ক করে একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়। এই কমিটি আমদানি পণ্য দ্রæত খালাসের জন্য সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধান দেবে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পণ্য আমদানির এলসিতে পণ্যের সঠিক বর্ণনা দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে র্নিদেশনা দেবে। আমদানি পণ্য আনার পর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা ওই এলসি অনুযায়ী পণ্যের সঠিক বর্ণনা অনলাইনে দেয়া হবে। কাস্টমসের যেসব কর্মকর্তা ভালো কাজ করলে তাদের জন্য পুরস্কার আর যারা ভালো করবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।
কাস্টমসে কয়েক দফা পরীক্ষার পরও শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাইয়ের সময় পণ্যে গরমিল পাওয়া যায় জানিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হোসাইন আহমদ বলেন, এখন কোনো ধাপেই ঠিকমতো পণ্যের পরীক্ষা হয় না। এ জন্য যেসব কর্মকর্তা দায়ী হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
বৈঠকে বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম জিকরুর রেজা খানম, কাস্টমস কমিশনার এ এফ এম আবদুল্লাহ খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন