স্টাফ রিপোর্টার : অচিরেই বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ এ এম এম বাহাউদ্দীন। তিনি বলেন, জনসংখ্যা ও আয়তনের দিক দিয়ে অনেক বড় মুসলিম রাষ্ট্র আছে। কিন্তু সবগুলো ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ, যুদ্ধবিগ্রহের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রই বদলে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের পাশে বিরাট একটি মুসলিম বৈরী রাষ্ট্র থাকার পরও স্থিতিশীল আছে। এ দেশের আলেম সমাজের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ও সচেতনতার ফলেই এটি সম্ভব হয়েছে। আর তারাই আগামী দিনের ইসলামী রাষ্ট্রের নেতৃত্ব দেবে। গতকাল (সোমবার) রাজধানীর মহাখালীস্থ গাউসুল আজম মসজিদ কমপ্লেক্সে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাবেক সভাপতি, সাবেক ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী, গাউসুল আজম কমপ্লেক্স ও দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহ:)-এর ১১তম ওফাত বার্ষিকী উপলক্ষে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ঢাকা মহানগরী শাখা এই আলোচনা সভা, ইছালে ছওয়াব ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।
মহানগরীর সভাপতি ও দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আ খ ম আবুবকর সিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও মাওলানা এম এ মান্নান (রহ:)-এর বড় ছেলে এ এম এম বাহাউদ্দীন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা কবি রুহুল আমীন খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা এম এ মান্নান (রহ:)-এর দ্বিতীয় ছেলে মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন ও তৃতীয় ছেলে মোহাম্মদ বাকি বিল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, পাশ্চাত্য দুনিয়া, বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রগুলো তাদের অতীত, তাদের রুট খোঁজার জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। শুধু একটি গৌরবময় অতীত আছে সেটি তুলে ধরার জন্য। সেটা ব্যক্তি হোক বা কর্ম হোক। জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও মাদরাসা শিক্ষকদের জন্য মাওলানা এম এ মান্নান, তার আদর্শ ও সফল প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে। যেগুলো নিয়ে কাজ করে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সাথে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জমিয়াতুল মোদার্রেছীন মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ রাখার একটি শক্তিশালী সংগঠন। এই সংগঠন ও ঐক্য ভাঙার জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অতীতেও কাজ করা হয়েছে এখনো প্রয়াস চলছে। কিন্তু তাদের সেই অপপ্রয়াস শেষ সীমায় চলে এসেছে। নির্বাচনের আগে আলেম-ওলামাদের কাছে সকলকে আসতে হবে মনে করিয়ে দিয়ে ইনকিলাব সম্পাদক বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারির পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন হবে। আগামী নির্বাচনের রূপরেখা নিয়েও অনেক কথাবার্তা হবে। নির্বাচনের ঢাকঢোল যত বাড়বে আলেম-ওলামাদের দ্বারে দ্বারে সকলকে আসতে হবে। আগামী নির্বাচনে পুলিশ-র্যাব দিয়ে মারধর করে নয়, মানুষের কাছে যেতে হবে, মানুষের মন জয় করেই জয়ী হতে হবে। আর মানুষের মন জয় করার, জনমত তৈরির সবচেয়ে বড় কারখানা এদেশের মসজিদ। ৬ লাখ মসজিদে সপ্তাহে একদিনে হলেও ৮ কোটি মুসলমান একত্রে সেজদাহ দেয়। আর লাখ লাখ (আলেয়া, কওমী) আলেমের সম্মিলিত প্রয়াস তো আছেই। আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ আছি এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, এ দেশের মূলধারার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া, আমলারা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অব্যাহতভাবে ইসলামবিদ্বেষ ও ইসলামবিরোধী কর্মকা-ের কারণে আলেম সমাজ এখন চুপচাপ আছে। কিন্তু সকলেই শিক্ষিত-জ্ঞানী, সকলেই ঐক্যবদ্ধ আছি। এক ডাকে সকলেই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে যাব এবং একসাথে কাজ করব। বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সব ক্ষেত্রেই শক্তিশালী ইসলামী সমাজ এ দেশের আলেম সমাজ। আগামী দিনে তাদের বলিষ্ঠ প্রভাব সকলে দেখতে পাবে এবং বাংলাদেশ পূর্ণাঙ্গ ইসলামী রাষ্ট্র হবে। কেউ সেটি ঠেকাতে পারবে না।
জমিয়াতুল মোদর্রেছীনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, মাদরাসার ফাজিলের মান এক সময় সাধারণ শিক্ষার ষষ্ঠ শ্রেণির সমান ছিল। এখন তা ডিগ্রির সমমান লাভ করেছে। ৫২টি মাদরাসায় অনার্স পড়ানো হচ্ছে। এই অভূতপূর্ব উন্নতি হয়েছে মাওলানা এম এ মান্নানের হাত ধরেই। তিনি একদিকে যেমন একজন আলেম ছিলেন, অন্যদিকে আল্লাহর ওলীও ছিলেন।
জমিয়াত নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতে জমিয়াত নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে, এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের জেলার নেতৃবৃন্দ যদি সংগঠিত থাকে তাহলে কেউ সুবিধা নিতে পারবে না। আর ওলীদের সংগঠন জমিয়াতকে কেউ ধ্বংস করার চিন্তা করলে তারা নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন।
জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা কবি রুহুল আমীন খান বলেন, সরকারি অনুদানে ৩ টাকা দিয়ে মাদরাসা শিক্ষকদের পাঠদান শুরু হয়েছিল। এখন তা ৫০ হাজারেরও বেশি হয়েছে। মাদরাসা শিক্ষকদের আজ যে বেতন-ভাতা, সম্মান-মর্যাদা তা মাওলানা এম এ মান্নানেরই অবদান। গোটা মুসলিম জাহান যখন বাংলাদেশ নিয়ে ভুল বুঝেছিল, বলেছিল বাংলাদেশ মুসলিম রাষ্ট্র নয়। তখন তিনিই হাজার হাজার আলেম-ওলামাদের একটি সমাবেশে সকল মুসলিম রাষ্ট্রদূতদের দাওয়াত দেন এবং চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বাংলাদেশে যে পরিমাণ আলেম আছে, মধ্যপ্রাচ্যের কোনো কোনো দেশে সেই পরিমাণ জনসংখ্যাও নেই। তার এই সমাবেশের পর থেকেই মুসলিম বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
মিসরে অনুষ্ঠিত ওআইসির (অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রি) একটি অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, সেই অনুষ্ঠানে মাওলানা এম এ মান্নানকে দেখিয়ে মিসরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে বলেন, তাকে (মাওলানা এম এম মান্নান) চেনেন। ইরাকের সম্মেলনে আব্দুল্লাহ সালেহ তার বক্তব্যে বলেন, মাওলানা এম এ মান্নান শুধু বাংলাদেশ কিংবা আরব বিশ্বের নয়, গোটা মুসলিম জাহানের দূত। প্রকৃতপক্ষে সেই সময় ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা আরব বিশ্ব ও বাংলাদেশের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
কবি রুহুল আমীন খান বলেন, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দেখে যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল জমিয়াতের সাবেক সভাপতির। এক সময় তিনি গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড টানিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন এবং বলেন, জানি না আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা দেখে যেতে পারব কি না। তবে জেনে রাখো এ দেশে ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হবেই। যেখানে তালিম দেয়া হবে এবং প্রকৃত নায়েবে রাসূল তৈরি হবে। যারা ইসলামের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নেতৃত্ব প্রদান করবে, ইমাম আবু হানিফা, ইবনে সিনা, ইবনে খালদুন, রুমীদের মতো নেতৃত্ব তৈরি হবে।
মাদরাসা শিক্ষা ও শিক্ষকদের বিষয়ে মাওলানা এম এ মান্নানের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষকদের শুধু বেতন পাওয়াই কাজ নয়, মাদরাসা শিক্ষা ও শিক্ষকদের একটি আদর্শ আছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিযোগিতায় তাদের নেতৃত্ব দিতে হবে। মুসলিম জাহানকে পথনির্দেশ করতে পারে এমন গবেষণাপত্র বের করতে হবে। তাহলেই কেবল তার স্বপ্ন পূরণ হবে।
আলেয়া, কওমী, পীর-মাশায়েখ, আলেম-ওলামা সকলকে মাওলানা এম এ মান্নান ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন উল্লেখ করে জমিয়াতের সিনিয়র সহ-সভাপতি বলেন, তিনি ছিলেন কালজয়ী পুরুষ, যুগ জামানা বদলে দিতে পারে এমন একজন। সকলের জন্য ছিলেন বটবৃক্ষ। দল-মত নির্বিশেষে সকলকেই তিনি একটি ছাতার নিচে এনেছিলেন। তার আগে ও পরে এই কাজ আর কেউ করতে পারেনি। এখন দেশ ও মুসলমানদের এই সঙ্কটকালে এমন একজন মানুষের খুব প্রয়োজন ছিল। যখন মুসলিম ছেলেরা সরস্বতীর কাছে বিদ্যা চাচ্ছে, সমাজ-সংস্কৃতি বিধর্মীদের কাছে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। মাথা উঁচু করে সারাদেশে মূর্তি বানানো হচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে এ মুসলিম জাতির অস্তিত্ব কি একদিন থাকবে? অথচ আমাদের পিলার (স্তম্ভ) হচ্ছে কালেমা। এই পিলার ধ্বংস করে দেয়ার চেষ্টা চলছে। সন্তানদের মাথায় সরস্বতি পূজা ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাই ইসলামী তাহজিব, তমদ্দুন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় তিনি সকল আলেম-ওলামাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। যার প্লাটফর্ম হবে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন, কেন্দ্র হবে গাউসুল আজম কমপ্লেক্স এবং নেতা হবেন এ এম এম বাহাউদ্দীন।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব জাফরুল্লাহ খান বলেন, দেশের আলেম-ওলামা ও ইসলামপ্রিয় মানুষরা যখন একটি মুখপত্রের প্রয়োজনীয়তা খুব বেশি অনুভব করছিল, তখনই মাওলানা এম এ মান্নান ইনকিলাব প্রকাশ করেন। এই পত্রিকাটির মাধ্যমে সমস্ত বাতিল মুখ থুবড়ে পড়েছে। অন্যদিকে আলেম সমাজকে করেছে ঐক্যবদ্ধ। আজকে দেশের যে নাজুক ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, এমন পরিস্থিতিতে তার মতো একজন মজবুত ভিত্তির খুব প্রয়োজন ছিল। যিনি আলেমদের দিকনির্দেশনা নিয়ে সঠিক পথ বাতলে দিতে পারতেন। তিনি আরো বলেন, ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার জন্য নিবেদিতপ্রাণ হিসেবে মাওলানা আব্দুল মান্নান কাজ করেছেন। তিনি নাস্তিক মুরতাদদের দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার জন্য মানুষ তৈরি করেছিলেন। আজকের দিনে যারাই নাস্তিক-মুরতাদদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন তারা সকলেই এই মহান মনীষীর উত্তরসূরি। তিনি সারাজীবন মুসলিম জাতির ঐক্য চাইতেন এবং সেই লক্ষ্যেই কাজ করে গেছেন।
ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা এ টি এম হেমায়েত উদ্দীন বলেন, মাওলানা এম এ মান্নান সময়োপযোগী ও আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা দিয়ে অবহেলিত আলেম সমাজকে মর্যাদার আসনে বসিয়েছেন। মুসলিম উম্মাহর ক্রান্তিলগ্নে তা থেকে উত্তরণের জন্য দিকনির্দেশনা দিতেন। আজকের দিনে নাজুক পরিস্থিতিতে আমরা তার অনুপস্থিতি পদে পদে অনুভব করছি।
মহাখালী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহবুবুর রহমান বলেন, স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা আন্দোলন করে যা পেয়েছেন, মাদরাসার শিক্ষকরা মাওলানা এম এ মান্নানের নেতৃত্বে আন্দোলন ছাড়াই তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছেন। মাদরাসা শিক্ষকদের আজকে যে বেতন-ভাতা, মর্যাদা-সম্মান অর্জিত হয়েছে তা এই নেতার নেতৃত্বেই সম্ভব হয়েছে। নতুবা এখন পর্যন্ত মাদরাসা শিক্ষকদের না খেয়েই থাকতে হতো।
অনুষ্ঠানে মাওলানা এম এ মান্নান (রহ:)-এর বর্ণাঢ্য কর্ম ও রাজনৈতিক জীবনের ওপর একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমান। তিনি প্রবন্ধে মাওলানা এম এ মান্নানের জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানান। স্বাগত বক্তব্য দেন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক জাফর সাদেক হাসান। এছাড়াও আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, কিশোরগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা মাসুদ আলম, বড় হুজুরের জামাতা মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, সহ-সভাপতি ড. আল্লামা নজরুল ইসলাম আল মারুফ, ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি ড. মোহাম্মদ ইদ্রিস খান, নরসিংদী জেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল জলিল, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই প্রমুখ।
চট্টগ্রামে ঈসালে ছাওয়াব মাহফিল
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন ৬নং পূর্বষোলশহর খাজা রোডস্থ ওয়াছিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসার উদ্যোগে মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) স্মরণে ঈসালে ছওয়াব মাহফিল গতকাল (সোমবার) মাদরাসা মিলনায়তনে অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ আবু ছালেহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন উপাধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুফিজুর রহমান, রেজাউল করিম, জাকির হোসেন, ইসমাঈল, আমিরুল ইসলাম, আবুল হোসেন, মনিরুল হাসান, ইকবাল হোসাইন, নজরুল ইসলাম, আবদুল বারি, আবদুল করিম, মাওলানা মফজল আহমদ, হাফেজ নুরুল আলম প্রমুখ।
ভাংগায় হযরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, প্রবীন রাজনীতিবিদ ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারের্ছীন ও ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ এম এ মান্নান (রহ.) এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারের্ছীন ফরিদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল এক বিশেষ দোয়ার মাহ্িফল ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর জীবন ও কর্মের উপর বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদারের্ছীন ফরিদুপুর জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ হযরত মাওলানা মো. আবু ইউছুফ মৃধা, অধ্যক্ষ ইকামাতে দ্বীন মডেল কামিল মাদ্রাসা, সেক্রেটারি হযরত মাওলানা মো. আছির রহমান, ভাংগা উপজেলার সভাপতি হযরত মাওলানা মো. ইব্রাহীম মিয়া এবং সেক্রেটারি আ. ছালাম মিয়া, এছাড়া স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জমিয়াতের হিতাকাঙ্খী মো. আব্দুল মোতালেব মিয়া ও পুলিয়া বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের পেশ ইমাম হযরত মাও. ইমরান হোসেন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। অতপর মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। উক্ত দোয়া পরিচালনা করেন হযরত মাওলানা মো. আবু ইউছুফ মৃধা।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল
ভালুকা উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের ভালুকায় গতকাল বাদ যোহর স্থানীয় চাপড়বাড়ি দাখিল মাদরাসা মসজিদে কালজয়ী মহাপুরুষ দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ জমিয়ায়াতুল মোদারের্ছীনের সাবেক সভাপতি, মসজিদে গাওছুল আজম, জমিয়াতুল মোদারের্ছীন কমপ্লেক্সের স্থপতি, অসংখ্য দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের অভিভাবক সাবেক ধর্ম ও ত্রাণমন্ত্রী আলহাজ মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর ১১তম ইন্তেকালবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাপড়বাড়ি দাখিল মাদরাসার সুপার ও দৈনিক ইনকিলাব এর ভালুকা সংবাদদাতা মাওলানা মো. মোবাশ্যারুল ইসলাম সবুজ, মাও. মো. মিজানুর রহমান, মাও. আবুল কালাম আজাদ, মৌলভী আব্দুস ছালাম, মৌলভী আবুল হোসাইন, মৌলভী খাইরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন খান, আতাউর রহমান খান, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ সিরাজ উদ্দিন খান, মো. জোবেদ আলী শেখ, আব্বাস উদ্দিন, আলমগীর হোসেন, মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকার মুসল্লীগণ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন মাদরাসার সহকারী সুপার ও মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আব্দুল মুতালেব।
রাউজানে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
রাউজান উপজেলা সংবাদদাতা জানান, মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)’র স্মরণে গতকাল বাদে আছর রাউজানে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দৈনিক ইনকিলাবের রাউজান উপজেলা সংবাদদাতা এম বেলাল উদ্দিনের আয়োজনে দোয়া মাহফিলে শরিক হন রাউজান উপজেলা জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের সভাপতি কদলপুর হামিদিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ আলহাজ হাফেজ আবু জাফর ছিদ্দিকী, বিশিষ্ঠ সংগঠক সৈয়্যদ মুহাম্মদ আলী আকবর তৈয়্যবী, আলহাজ সোলায়মান চৌধুরী, মওলানা হাফেজ ওমর ফারুক, মওলানা ইউছুফ তৈয়্যবী, মওলানা ছালেহ আকবর, মওলানা মুহাম্মদ মোজাম্মেল প্রমুখ।
পাবনায় আলোচনা ও দোয়া মাহফিল
পাবনা জেলা সংবাদদাতা জানান, মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)-এর ১১তম ইন্তেকালবার্ষিকী উপলক্ষে পাবনা জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের উদ্যেগে আলিয়া মাদরাসায় গতকাল (সোমবার) বাদ যোহর আলোচনা সভা ও বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। হযরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)-এর কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা করেন পাবনা জেলা শাখা জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের সভাপতি আলহাজ মো. আনছারুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ও আরিফপুর মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মতিউর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শিবপুর মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা নিজাম উদ্দিন প্রমুখ। পরে তাঁর রূহের মাগফিরাত ও দেশ-জাতির কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন, আলহাজ মাওলানা আনছারুল্লাহ।
ফরিদগঞ্জে মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা জানান, হযরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত ফরিদগঞ্জের কেরোয়া হোসনে আরা বেগম আদর্শ বালিকা উ”” বিদ্যালয়ে গতকাল আলোচনা সভা এবং মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত মিলাদ ও দোয়া পুর্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপক কুমার রাউত, সিনিয়র সহকারি শিক্ষক ননি গোপাল চক্রবর্তী, সিনিয়র সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম, আহছান উল্ল্যা, খাদিজা আক্তার, হালিমা আক্তার, রাজীব মজুমদার, এমরান হোসাইন,আবু তালেব রাসেল সহকারি শিক্ষক। পরে মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ শেষে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন