চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীতে ছাত্রলীগ কর্মী ইয়াসিন হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন তার মা রোকেয়া বেগম। গত সোমবার রাতে তিনি বাদী হয়ে নগরীর কোতোয়ালি থানায় এ মামলা দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন ওসি জসীম উদ্দিন। হত্যাকন্ডের সময় আহত হারুন ও হাসপাতাল থেকে পলাতক ইরফানসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামী করা হয়েছে এ মামলায়। এজাহারে নাম থাকা বাকিরা হলেন- হৃদয়, আবু বকর, মো. তারেক ও আয়ান। এরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
গত শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কোতোয়ালি থানার আমতল এলাকায় হোটেল সাফিনার নিচে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হন সরকারি সিটি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী এবং কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ইয়াসিন আরাফাত (২২)। ওই ঘটনার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়া মো. হারুন নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, ইরফানও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিল। কিন্তু সে পরে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে খুঁজছে। নিহত ইয়াসিন ও গ্রেপ্তার হারুন দু’জনেই চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের উপ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আহাদের অনুসারী। ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছিল, ইয়াসিন ও হামলাকারীরা একপক্ষের লোক হলেও তাদের মধ্যে দ্ব›দ্ব ছিল। হত্যাকান্ডের দিন সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া হারুন জানান, ইয়াসিন নগর ছাত্রলীগের উপ-গণশিক্ষা সম্পাদক আব্দুল আহাদের অনুসারী হলেও গত কয়েক মাস ধরে একাই চলাফেরা করতেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে ইয়াবা ব্যবসা নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ইয়াছিনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। সে নিজেও ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন