রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

বিনা চাষে রসুন আবাদে সাফল্য

| প্রকাশের সময় : ২০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জের সীমান্তবর্তী বাগেরহাট জেলার কুনিয়া গ্রামে বিনা আবাদে রসুনচাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি ২ জাতের রসুন ৫০ মণ উৎপাদিত হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার রসুন ফলেছে। বিঘা প্রতি রসুন আবাদে কৃষকরে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কৃষকের লাভ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। বোরবার দুপুরে কুনিয়া গ্রামে পিারাজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্যোগে আয়োজিত কৃষক মাঠদিবসে এসব তথ্য জানান কৃষি বিশেষজ্ঞরা। মাঠ দিবসে বাগেরহাট মৃত্তিকাসম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের প্রকল্প পরিচালক বিধান কুমার ভান্ডার প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন। প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম খায়রুল বাসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আবুল হাসান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শংকর মজুমদার, কৃষক শেখ হাবিবুর রহমান, মো: তোফাজ্জেল হোসেনসহ অরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। কৃষক শেখ হাবিবুর রহমান বলেন, নভেম্বর মাসে আমাদের জমি থেকে পানি নমে যায়। মাঠে কাঁদা থাকে। ফলে জমি চাষাবাদের কোন সুযোগ থাকে না। এ বছর ওই জমিতে বিনা আবাদে রসুন বুনেছি। মাত্র ৩ মাসে জমিতে এ রসুন ফলেছে। ৩ মাসে ১ বিঘায় ৮০ হাজার টাকা লাভ পেয়েছি। প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ বছর কুনিয়া গ্রামের ৪৫ বিঘা জমিতে বিনা আবাদে রসুন চাষ করে কৃষক ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। আগামী বছর এ গ্রামে রসুনের আবাদ বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম খায়রুল বাসার বলেন, স্থানীয় জাত বিঘায় মাত্র ২৫ মণ উৎপাদিত হয়। সেখানে বিনা আবাদের রসুন ৫০ মন ফলে। এ রসুন সাইজে বড়। কৃষক বেশিদামে এ রসুন বিক্রি করতে পারেন। বিনা আবাদে রসুন চাষ চলন বিলে হয়ে থাকে। এ বছর প্রথম কুনিয়া গ্রামে এ জাতের রসুন চাষ করে কৃষক কাঁচা পয়সা ঘরে তুলেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন