বিনোদন ডেস্ক : নাটক-চলচ্চিত্র-বিজ্ঞাপন নির্মাণকে কেন্দ্র করে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় অসংখ্য শুটিং হাউস ও স্পট গড়ে উঠেছে। সারা বছরই এই শুটিং হাউসগুলো ব্যস্ত থাকে। তবে ঈদের মৌসুমে ব্যস্ততা থাকে বেশি। ইতোমধ্যে নির্মাতারা আগামী ঈদের নাটক ও টেলিফিল্ম নির্মাণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ফলে ঈদের আগ পর্যন্ত শুটিং হাউসগুলো শুটিংয়ে পরিপূর্ণ থাকবে। বর্তমানে রাজধানী উত্তরায় ২৪টি, গাবতলি, আশুলিয়া ও গাজীপুর মিলিয়ে মোট ৬৫টি নিবন্ধিত শুটিং হাউস রয়েছে। প্রতিটি শুটিং হাউসই এখন শুটিংয়ে ব্যস্ত। প্রতিদিনই শুটিং হচ্ছে। শুটিং হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও স্বপ্নীল শুটিং হাউসের মালিক আবদুল আলিম বলেন, তিন মাস পর ঈদ। এজন্য গত মাস থেকে শুটিং হাউসগুলোতে চাপ বেড়েছে। আমার প্রতিটি হাউসে মার্চে ৩০ দিন শুটিং হয়েছে। ঈদ পর্যন্ত এগুলোর ব্যস্ততা থাকবে। শুধু রোজার ঈদ নয়, এর পরপরই কোরবানির ঈদ মৌসুম। তাই রোজার ঈদ শেষ হওয়ার পরপরই কোরবানি ঈদের অনুষ্ঠানের শুটিং শুরু হয়ে যাবে। তার আগ পর্যন্ত প্রায় সবগুলো শুটিং হাউস ব্যস্ত থাকবে। তবে রাত ১১টার পর শুটিং বন্ধ হওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকায় কিছুটা ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছেন শুটিং হাউসের মালিকরা। অবশ্য এটা ভাল দিক যে শুটিং কিছুটা নিয়মের মধ্যে এসেছে। তারপরও নতুন সময়সীমা নির্ধারণের কারণে অনেক নির্মাতা শুটিং হাউস বাদ দিয়ে অন্যত্র শুটিং করেন। এর কারণ হচ্ছে, একটি এক ঘণ্টার নাটক বানাতে সময় লাগে দুই দিন। শিল্পীদের কল টাইম সকাল ৮টা থাকলেও আনেক আসেন দুপুর ১টায়। তাই নির্মাতাদের রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। এতে নির্মাতারা ক্ষতির মুখে পড়েন। শিল্পীরা সময়মতো শুটিংয়ে এলে একজন নির্মাতা স্বাচ্ছন্দ্যে তার কাজ শেষ করতে পারেন। নির্মাণও ভাল হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন