বিনোদন ডেস্ক : চলচ্চিত্র নির্মাতা এমদাদুল হক খানের পরিচালনাধীন মন নিয়ে লুকোচুরি সিনেমায় জুটি হয়ে অভিনয় করছেন শাহরিয়াজ ও শিরিন শিলা। সিনেমার দুটি গানের শুটিংয়ের জন্য ৩০ জনের ইউনিট গত ৩০ মার্চ কক্সবাজার যান নির্মাতা। সেখানে শাহরিয়াজ ও শিরিন শিলার বিরুদ্ধে শিডিউল ফাঁসানো, কাজে অসহযোগিতা, শুটিং ইউনিট ছেড়ে বিনা অনুমতিতে অন্য জায়গায় রাত কাটানোর অভিযোগ এনে পরিচালক সমিতিতে গত ৪ এপ্রিল অভিযোগপত্র দেন এমদাদ। অভিযোগ পত্রে তিনি লিখেছেন, শাহরিয়াজ-শিরিন শিলা দুজনেই গড়িমসি করে করে শুটিং সেটে আসেন। ৩১ মার্চ সকাল ৭টায় শুটিং শুরু করার থাকলেও শিলা সেটে আসেন দুপুর ১২টায়। এরপর মেকআপ নিতে গিয়ে ৩টা বাজে। অন্যদিকে ঢাকা থেকে সকাল ৭টায় শাহরিয়াজের শুটিং সেটে আসার কথা থাকলেও সে বিমানের ফ্লাইট মিস করায় পরের ফ্লাইটে সেটে আসেন। তখন বিকেল হয়ে যায়। পরদিন সকাল ৮টায় কল টাইম থাকলেও শিলা কাউকে কিছু না জানিয়ে আগের দিন রাতে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান এবং রাত ২টায় হোটেলে আসেন। সকালে তাকে ডাকতে গেলে তার মা জানায়, ১০টার আগে তাকে ডাকা যাবে না। অন্যদিকে শাহরিয়াজকে ডাকতে গেলে তিনি জানান ১২টার আগে আসতে পারবেন না। এরপর পরিচালক সমিতির যুগ্ম মহাসচিব শাহীন সুমনের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে তার কথায় নায়ক-নায়িকা সেটে আসেন। তখন অনেক দেরি হয়ে যায়। তারওপর সেটে এসে ফেসবুক ও ফোনে কথা বলা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন নায়ক-নায়িকা দুজনেই। যার ফলে শুটিং ঠিকমত করা যায়নি। বাধ্য হয়ে শুটিং প্যাকআপ করে ফিরে আসতে হয়েছে পরিচালককে। তাদের এমন হেয়ালিপনা আচরণের সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন এমদাদ। অভিযোগ সম্পর্কে শাহরিয়াজ বলেন, এসব অভিযোগ পুরোটাই ভিত্তিহীন। সেটে আরও অনেকেই ছিলেন তাদের কাছে জিজ্ঞেস করলেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। শিরিন শিলা বলেন, এ ধরনের ঘটনা কিছুই ঘটেনি। নির্মাতা আমাকে সাইনিং মানি ছাড়া কোনো টাকাই দেয়নি। এরপর আজ-কাল করে একাধিকবার ঘুরিয়েছেন। বারবার প্রযোজকের দোহাই দিয়েছেন। আমি পরিচালকের কাছে অনেক টাকা পাব। তার অভিযোগ মিথ্যে। পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন বলেন, সমিতিতে চিঠি এসেছে। আগামী সপ্তাহে এটা নিয়ে মিটিং বসবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ সত্য হলে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন