স্টাফ রিপোর্টার : মুঠোফোনভিত্তিক ইন্টারনেটসহ সকল প্রকার ইন্টারনেটের মূল্য কমানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
গতকাল (শনিবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষা ও প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত না করার ফলে ও যুগোপযোগী নীতিমালা বা আইন না থাকায় ভোক্তারা আজ চরম বিপাকে। গ্রাহকদের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব আদায় ও অপারেটররা বিরাট অঙ্কের মুনাফা করলেও গ্রাহকদের কোনো স্বার্থের কথা চিন্তা করা হয়নি। ২০১৩ সালে দেশের প্রথম থ্রি-জি প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে মুঠোফোনভিত্তিক ইন্টারনেট চালু হয়।
উন্নত বিশ্বে ফাইব-জি চালু হলেও আমরা থ্রি-জি প্রযুক্তি আজঅবধি সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারিনি। ইতোমধ্যে সরকার ফোর-জি চালুর ঘোষণা দিয়েছে। বর্তমানে থ্রি-জি প্রযুক্তি সম্পন্ন হ্যান্ডসেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাত কোটি ৩০ লাখ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সংখ্যা ছয় কোটি ৭২ লাখ। এর মধ্যে মুঠোফোনভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছয় কোটি ৩১ লাখ। যা মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ৯৪ শতাংশ। যদিও বিশ^ব্যাংক ও ইন্টারনেট লাইভ স্ট্যাটাসের পরিসংখ্যান দুই কোটির কিছু বেশি। সেই হিসেবে পিছিয়ে পড়া ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫৪তম। এর অন্যতম কারণ, ইন্টারনেটের অতিরিক্ত দাম, সচেতনতার অভাব, দুর্বল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা, অপর্যাপ্ত ফাইবার অপটিক্যালসহ সাইবার নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সীমিত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চায়। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস টেলিকম খাত। কথাটি যে সত্য, তার প্রমাণ আমরা পাই এই খাতের রাজস্ব আদায়ের চিত্র পর্যবেক্ষণ করলে। আর সরকারের অতিরিক্ত রাজস্ব এবং অপারেটরদের অতিরিক্ত মুনাফার শিকার হচ্ছে গ্রাহকরা। যাতে মাত্র ২৫ টাকার এক গিগাবাইটের ইন্টারনেটের ৩০ দিন মেয়াদের জন্য ব্যয় করতে হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা। এতেই প্রমাণিত হয়, গ্রাহকরা কি পরিমাণ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন।
এরপর রয়েছে দুর্বল নেটওয়ার্ক, যার ফলে ইন্টারনেটে প্রবেশ করতেই একজন গ্রাহককে ৫ থেকে ১০ এমবি ডাটা ব্যয় করতে হয়। আমাদের প্রশ্ন, এসকল উদ্যোগ কি সত্যিকারেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য। নাকি লোক দেখিয়ে জনগণকে প্রতারণার শিকার করার জন্য। এ সময় মানববন্ধনের আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুবক্কর সিদ্দিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী আমানুল্লাহ মাহফুজ, গণমোর্চার আহ্বায়ক মো. মাসুম, সংগঠনের সদস্য রেজাউল করিম, আব্দুর রাজ্জাক, নূর মো. সিরাজী, আফজাল হোসেন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন