শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

বিদ্যুৎহীনতায় তীব্র মানবিক সংকটের মুখে গাজাবাসী

| প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় তীব্র বিদ্যুৎ সংকট চলছে। ইসরাইল সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে এ সংকট আরো জোরালো হয়েছে। সংকটে পড়েছে অবরুদ্ধ গাজার অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে গাজাবাসী তীব্র মানবিক সংকটে পড়বে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ। গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ অঞ্চলে নিযুক্ত সংস্থাটির বিশেষ সমন্বয়ক নিকোলাই মালদেনভ এ সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ, ইসরাইল সরকার ও হামাসকে গাজাবাসীর কল্যাণে কাজ করতে হবে। কিন্তু সব পক্ষই সম্ভাব্য মানবিক সংকটের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, গাজায় প্রতিদিন ৪ ঘণ্টারও কম সময় বিদ্যুৎ থাকে। ইসরাইলী সরকার সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরো কমিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর ফলে তীব্র পানি সংকট দেখা দেবে। বন্ধ হয়ে যাবে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। ক্ষতিগ্রস্থ হবে পুরো অর্থনীতি। দেখা দেবে তীব্র মানবিক সংকট। এর ফলে স্থানীয়দের মধ্যে অসন্তোষ ও সংঘাত ছড়িয়ে পড়বে বলেও তিনি মনে করেন। চলমান সংকট নিরসনে ও সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলোকে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার আহŸান জানান নিকোলাই। তিনি বলেন, গাজায় প্রতিদিন ২ ঘণ্টারও কম সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে আর স্থানীয়দের জীবনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না, এমনটা চিন্তা করা বোকামি। এ কারণে সংঘাত ছড়ালে তার দায় সব পক্ষকেই নিতে হবে। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটিমাত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। তবে জ্বালানি সংকটের কারণে পুরোদমে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না এ কেন্দ্র। এ কারণে উপত্যকার প্রায় ২০ লাখ মানুষ চরম অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছেন। এ কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি কাতার ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা হয়। স¤প্রতি গাজার বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং পশ্চিম তীরের ফাত্তাহ’র নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) বিরোধের জেরে আমদানি শিপমেন্ট আটকে গেছে। ফলে তীব্র জ্বালানি সংকটের মুখে পড়েছে কেন্দ্রটি। কবে নাগাদ আমদানি প্রক্রিয়া ফের শুরু হবে, তাও নিশ্চিত নয়। আল-জাজিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন