ইনকিলাব ডেস্ক : সউদি আরবের সঙ্গে কাতারের চলমান সংকট নিরসনের জন্য দোহাকে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো গোষ্ঠীর প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সউদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল-জুবায়ের। জুবায়ের আরো বলেন, কাতারের আচরণে সউদি আরবের সহ্যের বাঁধ ভেঙে গেছে এবং দোহাকে অবশ্যই হামাস ও মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো সংগঠনের প্রতি সমর্থন বন্ধ করতে হবে। সউদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, চারটি আরব দেশ কাতারের ক্ষতি করার জন্য দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি; তবে কাতারকে তার পথ বেছে নিতে হবে। কাতারের রাজধানী দোহায় বর্তমানে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সদরদপ্তর অবস্থিত। ২০১১ সালে সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সহিংসতা শুরু হলে সংগঠনটি তাদের দপ্তর দামেস্ক থেকে দোহায় স্থানান্তর করে। ইসরাইলের বিরুদ্ধে যেসব ফিলিস্তিনি সংগঠন নিজেদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে হামাস তাদের অন্যতম। এতদিন শুধু ইসরাইল ও তার পশ্চিমা মিত্ররা হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে অভিহিত করত। এবার সউদি আরব প্রকাশ্যে এটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করে তাকে সমর্থন দেয়ার দায়ে কাতারকে শাস্তি দিল। এর আগে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান আলে সানি মঙ্গলবার মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, চলমান সংকট নিরসনের লক্ষ্যে তার দেশ পারস্য উপসাগরীয় প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে রাজি আছে। এর একদিন আগে সোমবার সউদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর কাতারের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করে। এ ছাড়া, সউদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন তাদের সব জল, স্থল ও আকাশপথ কাতারের জন্য বন্ধ করে দেয়। গতমাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সউদি আরব সফরের একদিন পর থেকে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের সম্পর্কে টানাপড়েন শুরু হয়। এ ছাড়া, মঙ্গলবার কাতারের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার কৃতিত্ব দাবি করেন ট্রাম্প। রয়টার্স, বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন