শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

মধ্যপ্রাচ্যেজুড়ে অস্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়ী : খামেনি

| প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রই এ অঞ্চলে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জন্ম দিয়েছে। তাই আইএস বিরোধী লড়াইয়ে মার্কিন উপস্থিতি পুরোটাই মিথ্যা। গত সোমবার দেশটির উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং দেশটির এজেন্টরা মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করছে। কে আইএসের জন্ম দিয়েছে? অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র। আবার দেশটি আইএস দমন অভিযানে অংশ নেয়ার দাবি করে থাকে। এটা পুরোটাই মিথ্যা। সম্প্রতি ইরানের রাজধানী তেহরানে পার্লামেন্ট ভবন ও জাতীয় নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির সমাধিতে পৃথক দুই হামলায় ১৭ জন নিহত হন। এ হামলার দায় স্বীকার করে আইএস। এ দাবি সত্য হলে, এটাই ইরানে আইএসের প্রথম হামলা। তেহরানে সন্ত্রাসী হামলা ও হতাহতের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার অন্যতম মিত্র সউদি আরবকে দায়ী করেছে ইরান। তেহরানের মতে, এ দুদেশ আইএসের উত্থান ও অর্থায়নের পেছনে ভূমিকা রাখছে। যদিও দুদেশই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামি বিপ্লব সংঘটিত হয়। এরপর থেকেই দেশটির সঙ্গে মার্কিন প্রশাসনের সম্পর্ক অ¤øমধুর। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের স্বপ্ন এ বিরোধে ঘি ঢেলেছে। এ ইস্যুতে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় থেকে বাকি বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হতে বসেছিল ইরান। ক্রমশ স্থবির হয়ে পড়ছিল দেশটির অর্থনীতি। যদিও উদারপন্থী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির হাত ধরে দেশটি এ সংকট অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। ২০১৫ সালে বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি সই করেছে ইরান। অস্ত্র অর্জনের স্বপ্ন ত্যাগের বিনিময়ে ধাপে ধাপে নিষেধাজ্ঞা উঠেছে। গতি ফিরতে শুরু করেছে দেশটির আর্থসামাজিক খাতে। তবে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কে অবিশ্বাস এখনো পুরোপুরি কাটেনি। ইরান সন্ত্রাসবাদের প্রতি সমর্থন দিচ্ছে বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স¤প্রতি যে দাবি করেছেন তাকে উদ্ভবট বলে উড়িয়ে দেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, এটা খুবই অদ্ভূত যে, ট্রাম্প ইরানের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেছেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর মার্কিন সামরিক হুমকি বাড়ানো ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে কন্দ্রে করে নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়েও সর্বোচ্চ নেতা কথা বলেন। তিনি বলেন, এ ধরনের শত্রæতার মুখে ইসলামি ইরানের উন্নয়ন ও প্রগতির বিষয়ে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা ও কঠোর পরিশ্রমের পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আল-জাজিরা, পার্সটুডে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন