সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বাস্থ্য

ধূমপান এবং স্ট্রোক

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য অসুখ। বলা হয়ে থাকে প্রায় ৯০ ভাগ স্ট্রোকই প্রতিরোধ করা যায়। আমাদের দেশে স্ট্রোকের কারণে প্রতিবছর অনেক রোগী মারা যায় এবং অনেকে বিকলাঙ্গ হয়। স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান একটি ‘রিস্ক ফ্যাক্টর’ ধূমপান। সুতরাং ধূমপান থেকে বিরত থাকলে অনেক স্ট্রোক প্রতিরোধ সম্ভব।
সিগারেট থেকে যে ধোঁয়া বের হয় তার মধ্যে প্রায় ৪০০০ বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ থাকে। এগুলো রক্তে মিশে যায়। সিগারেটে থাকে নিকোটিন যার জন্য আসক্তি তৈরি হয়। ধূমপান করলে কেন স্ট্রোক হয় বিজ্ঞানীরা তাও বের করেছেন।
ধূমপান করলে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি হয়। সেজন্য স্ট্রোক বেড়ে যায়। ধূমপানের ফলে রক্তনালীর ভেতরের দিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তখন সেখানে চর্বি জমা শুরু হয়। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থ রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। ব্রেনের রক্তনালীতে রক্ত জমাট বেঁধে গেলে দেখা দেয় স্ট্রোক। এছাড়া ধূমপান করলে রক্তের ঘনত্ব বেড়ে যায়। রক্তের ঘনত্ব বেড়ে গেলে রক্ত জমাট বাঁধার প্রবণতা বাড়ে। স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে।
আগে ধারণা করা হতো কারো যদি উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস থাকে এবং সে ব্যক্তি যদি ধূমপায়ী হন তবে তার স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। বর্তমানে দেখা গেছে ধূমপান একাই স্ট্রোক হবার জন্য যথেষ্ঠ অর্থাৎ সেই ব্যক্তির ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ না থাকলেও স্ট্রোক হতে পারে। কেউ যদি দীর্ঘদিন অনেক বেশী সিগারেট খায় তার স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশী। আবার ধূমপায়ী ব্যক্তির স্ত্রীর স্ট্রোকে মৃত্যুর ঝুঁকি অধূমপায়ী ব্যক্তির স্ত্রীর থেকে বেশী।
একটা প্রবাদ আছে, “ঞযব সড়ৎব ুড়ঁ ংসড়শব, ঃযব সড়ৎব ুড়ঁ ংঃৎড়শব” যত বেশি ধূমপান করবেন তত বেশী স্ট্রোক হবে। ধূমপান ছেড়ে দিলে স্ট্রোকের সম্ভাবনাও কমবে। ধূমপান কোন উপকার তো করেই না বরং নানা জটিল রোগের আগমন ঘটায়।
ধূমপানের ফলে শারীরিক, মানসিক, আর্থিক, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবেই। ধূমপান স্ট্রোক ও করোনারী হৃদরোগের অন্যতম প্রধান রিস্ক ফ্যাক্টর। তাই সাবধান হতে হবে। কারণ এ দুটো রোগে অনেক মানুষ মারা যায়। আশা করি সবাই সচেতন হবে।
ডা. ফজলুল কবীর পাভেল

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন