ইনকিলাব ডেস্ক : সউদী আরবের দেয়া ১৩টি শর্তের জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও কুয়েতের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে দোহা। এজন্য তাদের উপর দেওয়া যৌক্তিক শর্তগুলো মানতে প্রস্তুত তারা। গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান একথা জানান। তিনি বলেন, এটা গালফ কাউন্সিলের ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই দাবিগুলো অযৌক্তিক ও সময়সীমা বেঁধে দেওয়াটা আসলে কাতারের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত, যা মেনে নেয়া যায় না। সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এনে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসরসহ ৬ দেশ। এরপর সম্পর্ক পুনর্গঠনে কাতারকে ১৩টি শর্ত দেয় ৪ দেশ। জবাব দেওয়ার জন্য বেধে দেওয়া হয় ১০ দিনের সময়। রোববার শেষ হচ্ছে সেই সময়। এই সংকট সমাধানে এগিয়ে এসেছে কুয়েত। যুক্তরাষ্ট্রকে সাথে নিয়ে দেশগুলোর মাঝে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করছেন কুয়েতের আমির। শেখ মোহাম্মদ বলেন, বহির্বিশ্বের হস্তক্ষেপ ঠেকাতেই আমরা গালফ কাউন্সিল গঠন করি। কিন্তু হুমকি যখন ভেতরেই তখন এই জোট দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই সংকট সমাধানে দোহা যৌক্তিক বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু দাবি মেনে নেয়া যায় না কারণ অভিযোগগুলো মিথ্যে। তিনি বলেন, আমরা আইএস, আল-কায়েদা কিংবা লেবানিজ জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারি না। কারণ তাদের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্কই নেই। রাশিয়ায় নিযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, কাতার এই দাবিগুলো না মানলে তাদের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন