সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ধামইরহাট-মাতাজিহাট-নওগাঁ সড়কে যান চলাচল বন্ধ

ভেঙে যাওয়া সেতু দেড় মাসেও সংস্কার বা নির্মাণের উদ্যোগ নেই

| প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নওগাঁ থেকে এমদাদুল হক সুমন
নওগাঁর ধামইরহাটের বড়থা বাজারের এলাকায় ধামইরহাট-মাতাজিহাট-নওগাঁ সড়কের একটি সেতু ভেঙে পড়ায় দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও সেতুটি মেরামত বা নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে নওগাঁ থেকে মাতাজিহাট হয়ে ধামইরহাটে মাঝারীসহ সকল প্রকার বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে ধামইরহাট উপজেলা সদর ও নওগাঁ শহরে যাতায়াত করতে ধামইরহাট ও পত্মীতলা উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
জানা যায়, ধামইরহাট উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের বড়থা বাজার এলাকায় মাতাজিহাট-ফতেপুর সড়কে স্থাপিত সেতুটি বন্যার পানির তোড়ে গত ১৭ আগস্ট ভেঙে যায়। এতে ধামইরহাট উপজেলার আড়ানগর, ইসবপুর, জাহানপুর. উমার, ধামইরহাট, আলমপুর ও পতœীতলা উপজেলার, আমাইড়, ঘোষনগর ও পাটিচড়া ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অনেক পথ ঘুরে নওগাঁ শহর ও ধামইরহাট উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
ধামইরহাট উপজেলার আড়ানগর ইউনিয়নের সেননগর গ্রামের আলহাজ জামাল উদ্দিন, খেড়শুকনা গ্রামের প্রধান শিক্ষক আব্দুল কালাম আজাদসহ স্থানীয়রা বলেন, মাতাজিহাট-ফতেপুর সড়ক দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, চাঁজার অটোরিকশা কিংবা মোটরসাইকেলে নওগাঁ জেলা শহরে যেতে এক ঘণ্টা সময় লাগছে। সেতুটি ভেঙে পড়ায় এখন পতœীতলার নজিপুর হয়ে ঘুরে নওগাঁ শহরে যেতে হচ্ছে। এতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় বেশি লাগছে। দিনে বাড়তি ভাড়াও দিতে হচ্ছে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এদিকে সন্ধ্যার পর যান বাহন চালকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছে।
ল²ণপাড়ার মিথুন, রবিন রায় জানান, ভাঙা সেতুর দুই ধারে এমন কোনো চিহ্ন দেয়া হয়নি যা দেখে অপরিচিত কোনো ব্যক্তি বুঝতে পারবে যে সামনে ভাঙা সেতু রয়েছে। দক্ষিণ শ্যামপুর গ্রামের প্রভাষক মোরশেদুল আলম জানান, সংশ্লিষ্ট বিভাগ সেতুটি নতুন করে নির্মাণ বা বিকল্প রাস্তা তৈরি না করায় কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান, সবজি, মাছসহ অন্যান্য পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারছেন না। এতে বাড়িতে কম মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
আড়ানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী কমল বলেন, সেতুটি যেদিন ভেঙে যায় ওই দিনই বিষয়টি ঊর্র্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা দ্রæত সেতুটি সংস্কারের উদ্যোগ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু দেড় মাস পেড়িয়ে গেলেও সেতুটি সংস্কার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এতে স্থানীয় লোকজন অনেক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় হাটবাজারে পণ্য পরিবহনে চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন লোকজন। সেতুটি দ্রæত নতুন করে নির্মাণ বা বিকল্প রাস্তা তৈরি করার দাবি জানান।
ধামইরহাট উপজেলা প্রকৌশলী আলী হোসেন বলেন, বন্যার ভেঙে যাওয়া সেতুটি পর্যবেক্ষণসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। আগামী ৮-৯ দিনের মধ্যে মাটি দিয়ে বিকল্প সড়ক নির্মাণ করা হবে। যাতে নিরাপদে যানবাহন চলাচল করতে পারে। তবে ভেঙে যাওয়া সেতুটি নতুনভাবে নির্মাণ করা হবে। সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি শেষ করতে অনেক সময় লাগবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন