শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে ম্লান বিজয়

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

আনামুল হক বিজয়েল মাইলফলক ম্যাচ। হাজারী ৫ম ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলের হাজারী ক্লাবে নাম লেখালেন চিটাগং ভাইকিংসের এই ব্যাটসম্যান। তবে দিনটিকে উদযাপনের সুযোগ দিলেন না খুলনা টাইটান্স অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। গতকাল মিরপুরে সন্ধ্যায় চিটাগংকে ৫ উইকেটে হারালো খুলনা।
সিলেট সিক্সার্সের সঙ্গে ম্যাচটি বৃষ্টিতে হয় পরিত্যক্ত। তার আগের ম্যাচেও লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিল খুলনা টাইটানস। যদিও ঢাকা শেষের ওভারে নাটকীয়ভাবে ম্যাচ জিতে নেয়। পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান পাকা করতে তাই আজকের ম্যাচে জিততে মরিয়াই ছিল মাহমুদউল্লাহর দল। সে লক্ষ্যে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে চিটাগংকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মাহমুদউল্লাহ। সাফল্যও ধরা দেয় হাতে হাতে। আগের দু’ম্যাচে রান পাওয়া লুক রনিকিকে ক্যাচে পরিণত করে প্রথম উল্লাসে মাতান অধিনায়কই। এরপর থেকে দলকে টেনে তুলেন বিজয়। আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারকে সঙ্গে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৯৫ রান। এরপর বলা হাতেও ধারালো মাহমুদউল্লাহ। ৪৩ বলে চার বাউন্ডারিতে ৩২ রান করা সৌম্যকে ফেরান ব্র্যাথওয়েটের ক্যাচে। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি বিজয়ও। ৪৭ বলে পাঁচ চার ও তিন ছয়ের মারে ৬২ রান করে জায়েদের বলে আউট হন তিনি। এরই মধ্য দিয়ে বিপিএলে হাজারী ক্লাবের পঞ্চম সদস্য হিসেবে নাম লেখান বিজয় (১০২৪)। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে মোট ৫৪ ম্যাচ ও ৪৯ ইনিংস সময় নিলেন বিজয়। বিপিএল ক্যারিয়ারে ২৪ বছর বয়সী মারমুখি ব্যাটসম্যানের রয়েছে ৫টি অর্ধশতকের ইনিংস। বিজয়ের আগে এমন কীর্তি আছে মুশফিকুর রহিম (১২৩৫), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১১৭৩), সাকিব আল হাসান (১০৩৩) ও তামিম ইকবাল (১০৩০)।
বিজয় তাÐবের পর শেষ দিকে নাজিবুল্লাহ জাদরানের ২৪ ও স্টিয়ান ভ্যান জিলের অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংসে ১৬০ রানের ফাইটিং স্কোর তুলে চিটাগং। আবু জায়েদ রাহী ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট।
১৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১৫ রানে ফিরে যান ক্লিঙ্গার। আপাত দৃষ্টিতে ধাক্কা মনে হলেও এরপর আরও তেতে উঠেন রাইলি রুশো। ৫ ওভারে ঝড়ো গতিতে খেলে দলীয় অর্ধশত রান পূরণ করেন। ষষ্ঠ ওভারে তার সঙ্গী ধীমান ঘোষকে ফেরান সিকান্দার রাজা। তাতেও অবশ্য রাশ টেনে ধরতে পারেনি চিটাগং। আগ্রাসী ভঙ্গিতেই খেলতে থাকেন ওপেনার রুশো। ব্যক্তিগত ৪৯ রানে ব্যাট করতে থাকা এই মারকুটে ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করে বিদায় দেন আল আমিন। কিছু রান যোগ করে এরপরে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত। এর পরেই লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার সঙ্গে সমান তালে ব্যাট চালিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন আরিফুল হক। এক পর্যায়ে তাÐবের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন দুজন। ২৪ বলে যখন ৩৪ রানে ব্যাট করছিলেন আরিফুল তখনই তাকে তালুবন্দী করেন পেসার তাসকিন। অবশ্য তাতেও থেমে থাকেনি খুলনা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ব্র্যাথওয়েট তাসকিনের এক বলে চার আরেক বলে ছয় মেরে দিয়ে ১৮তম ওভারে দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেন। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ। খুলনা অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। তার ৩৪ বলের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও একটি ছয়। সঙ্গে ১০ রানে ব্যাট করছিলেন ব্র্যাথওয়েট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং ভাইকিংস : ২০ ওভারে ১৬০/৫ (সৌম্য ৩২, বিজয় ৬২, নাজিবুল্লাহ ২৪, ভন জিল ২৩*; রাহী ৩/২৬, মাহমুদউল্লাহ ১/১৪)।
খুলনা টাইটান্স : ১৮.২ ওভারে ১৬৪/৫ (রুশো ৪৯, মাহমুদউল্লাহ ৪৮*, আরিফুল ৩৪, ব্র্যাথওয়েট ১০*; সিকান্দর ১/২০, সানজামুল ১/৩৩, তাসকিন ১/৩৮, আল-আমিন ১/১৪, তানবীর ১/২৯)।
ফল : খুলনা টাইটান্স ৫ উইকেট জয়ী।
ম্যাচ সেরা : রাইলি রুশো (খুলনা)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন