শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপ সম্পাদকীয়

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ : আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি এখন আই বল টু আই বল

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে বেতার ও টেলিভিশন ভাষণ দেবেন, এই ঘোষণা শোনার পর বিএনপি ও এক শ্রেণীর বিরোধীদলের মধ্যে বিপুল চাঞ্চল্য ও আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছিল কেন? পত্রপত্রিকায় যে ঘোষণাটি এসেছিল সেখানে কিন্তু বলা হয়েছিল যে, বর্তমান সরকারের চলতি মেয়াদের চার বছরপূর্তি উপলক্ষে তিনি জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। ঐ ঘোষণার কোথাও কিন্তু বলা হয়নি যে, তিনি নির্বাচন সম্পর্কে জাতিকে নতুন কথা শোনাবেন। যেটা বলা হয়েছিল, সেটাই তিনি করেছেন। এই চার বছরে বিভিন্ন সেক্টরে সরকারের কি কি সাফল্য সেগুলোই তিনি বর্ণনা করেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তিনি যে গুলোকে সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন সে সবের সাথে অন্যেরা হয়তো একমত হতে নাও পারেন। সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। কিন্তু তাই বলে এই আশাবাদ কেন সৃষ্টি হয়েছিল যে, তিনি নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে বিশেষ করে নিরপেক্ষ সরকার সম্পর্কে কিছু বলবেন?
আমিতো বরং বলবো যে, নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথা তার সরকারের অবস্থান ২০১২ সাল থেকেই অত্যন্ত কন্সিস্টেন্ট। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক সুপ্রিমকোর্টের বিভক্ত রায়ে একজনের মেজোরিটিতে কেয়ার টেকার সরকার বাতিল করেন।এরপর এই সরকার তার ব্রুট মেজোরিটিতে জাতীয় সংসদে কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেন। এই সরকারই পঞ্চদশ সংশোধনী সংবিধানে অন্তভর্‚ক্ত করেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন না দেওয়ায় ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটমুক্ত দলসহ ৩০টি বিরোধী দল বর্জন করে। কিন্তু তাদের বর্জনকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ না করে শেখ হাসিনা সরকার ঐ একতরফা নির্বাচন করে। দেশি-বিদেশি জনমতের তোয়াক্কা না করে এই সরকার ৩০০জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ১৫৪ জনকেই বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় পাশ করিয়ে আনে। একটি জাতীয় নির্বাচনে ১০ শতাংশের ওপরে মানুষ ভোট দেয়নি। সেটাকেও এই সরকার পাত্তা না দিয়ে একতরফা ইলেকশন করে।
বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে পিছু হটে কেয়ারটেকারে সরে আসে। কিন্তু সরকার বিরোধীদলের কোন বক্তব্যকে আমলেই নেয়নি। যখন বিএনপি তথা বিরোধীদল দেখলো যে, সরকার তাদের কোন কথাই শুনছে না তখন থেকেই তারা সরকারের সাথে ডায়ালগ বা সংলাপের জন্য আবদার জুড়ে দেয়। গত ৪ বছর হলো বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপি আলাপ-আলোচনা ও সংলাপের দরখাস্ত করেই যাচ্ছে। কিন্তু সরকার বিএনপির প্রতিটি দরখাস্তই পত্র পাঠ বিদায় করে দিচ্ছে। সংলাপের আবদারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির ওপর এতই বিরক্ত যে, তিনি আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের এক সভায় স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, তার কাছে বিএনপির নাম যেন কেউ উচ্চারণ না করে। কয়েকদিন আগে বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলছিলেন যে, এই সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবেন না এবং এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন বাংলার মাটিতে তারা হতেও দেবেন না। এই ধরনের বক্তব্যের পর এইতো সেদিন শেখ হাসিনা বলেছেন যে, বিএনপিকে নাকে খত দিয়ে ইলেকশনে আসতে হবে। এতো কিছুর পর বিএনপি কিভাবে বিশ্বাস করে যে সেদিন জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বেতার ও টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরপেক্ষ সরকারের দাবি মেনে নেবেন অথবা নিরপেক্ষ সরকার প্রশ্নে বিরোধীদলের সাথে আলোচনায় বসবেন।
আমার কাছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের একটি মন্তব্য বড় আজব মনে হয়েছে। মির্জা ফখরুল বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে তিনি যা বলেছেন তা খুবই অস্পষ্ট, ধোঁয়াশাপূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর। জাতি আশা করেছিল তার প্রধানমন্ত্রীত্বের এ মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার এক বছর আগেই তিনি যে ভাষণ দেবেন, সে ভাষণে থাকবে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা, জাতীয় সংকট নিরসনে একটি স্পষ্ট রূপরেখা এবং জনগণের উৎকণ্ঠা ও অনিশ্চয়তা দূর করার জন্য থাকবে বিভ্রান্তির বেড়াজালমুক্ত কর্মপদক্ষেপ। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি আন্তরিকভাবে নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে নতুন কিছু ভেবে থাকেন, তাহলে তার উচিৎ হবে এ নিয়ে সকল স্টেক-হোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া।
দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের মহাসচিব হলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকভাবে নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে নতুন কিছু ভাবছেন কিনা সেটি নিয়ে মির্জা ফখরুলের এতো দুশ্চিন্তা এবং মাথা ব্যাথা কেন? বার বার আওয়ামী লীগ বিএনপিকে প্রত্যাঘাত করার পরেও তিনি নির্বাচন নিয়ে স্টেক হোল্ডারদের সাথে আলাপ-আলোচনায় বসার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে এরপরেও অনুরোধ জানান কিভাবে?
\দুই\
নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কি ভাবছেন সেটি কি মির্জা ফখরুল জানেন না? সেটা নিয়ে একা একা তার নিজের ব্রেন ষ্টর্মিংয়ের কোন প্রয়োজন আছে কি? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১২ই জানুয়ারী শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত বেতার ও টেলিভিশন ভাষণে রাজনীতির ময়দানে তাঁর ফাইনাল শটটি খেলেছেন। তিনি বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কীভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। সেই সরকার নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করবে। বাংলাদেশের সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে এই নির্বাচনে অংশগ্রহনের আহ্বান জানান তিনি। একই সাথে তিনি এই মর্মে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন যে, কোন কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহন না করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদেরকে কঠোর হাতে দমন করা হবে।
তার এসব কথা তিনি এবং তার দলের অন্যান্য নেতা অনেকদিন থেকেই বলছেন এবং খুব জোরের সাথেই বলছেন। তাজ্জবের ব্যাপার হলো, অসংখ্য বার প্রত্যাখ্যাত হওয়া সত্তে¡ও বিএনপিও অসংখ্য বার আলাপ-আলোচনা ও সংলাপের জন্য সরকারের কাছে আবেদন-নিবেদন করে যাচ্ছে। এই বার স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নির্বাচনের আগে নির্বাচনী বছরে জাতির উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভাষণে বিএনপির আবেদনকে ফাইনালি প্রত্যাখ্যান করলেন। এখন বিএনপি কি করবে? প্রধানমন্ত্রীর এই সর্বশেষ হার্ড লাইন নেওয়ার পরেও প্রদত্ত প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফের সংলাপ এবং আলোচনার কথা বলেছেন। বিএনপির একজন স্ট্রং সাপোর্টার ড. দিলারা চৌধুরী একটি টেলিভিশন টকশোতে বলেছেন যে, সংলাপ এবং আলোচনার জন্য বিএনপি সরকারের কাছে ‘বেগ’ করছে, অর্থাৎ অনুনয় বিনয় করছে। কিন্তু তারপরেও সরকারের তথা আওয়ালীগের মন গলাতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই ভাষণ শোনার পর সংবিধান তন্ন তন্ন করে ঘাঁটা ঘাঁটি করা হলো। পঞ্চদশ সংশোধনীও খুটি নাটি পড়া হলো। কিন্তু কোথাও নির্বাচনকালীন সরকার গঠন সম্পর্কে কোন অনুচ্ছেদ বা উপঅনুচ্ছেদ খুঁজে পাওয়া গেল না। কিভাবে কোন সূত্রে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বললেন সে কথা বোঝা গেল না। তাহলে এই কথার ফল দাঁড়াচ্ছে এই যে, বর্তমান দলীয় সরকার অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
যেহেতু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে যে, নির্বাচনকালীন সরকার কিভাবে গঠিত হবে সেই আলোকেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। আমি একটু আগেই বলেছি যে, সংবিধানের কোথায় নির্বাচনকালীন সরকারের কথা লেখা আছে সেটা আমি ভালো করে ঘাঁটা ঘাঁটি করেছি। কিন্তু কোথাও এই বিষয়টি পাইনি। গতবার নির্বাচনের সময়ও আওয়ামী লীগের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে নির্বাচনের আগে অস্থায়ী সরকার বা অন্তর্বর্তিকালীন সরকার গঠিত হবে। কিন্তু পরবর্তীতে সংবিধান ঘেঁটে দেখা গেল যে, অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের কোন বিধান নাই। এবার আবার বলা হয়েছে যে, সংবিধানে নাকি নির্বাচনকালীন সরকারের বিধান আছে। কিন্তু এবারেও সংবিধান ঘেঁটে দেখা গেল যে, নির্বাচনকালীন সরকারের বিধানও সংবিধানের কোথাও লেখা নাই।
আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা ব্যরিস্টার মওদূদ আহমেদের মন্তব্যের জবাবে বলেছেন যে, সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের ৪ উপঅনুচ্ছেদে নাকি সেই কথা বলা আছে। আসুন আমরা দেখি ৫৬(৪) অনুচ্ছেদে কি বলা আছে। ঐ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘সংসদ ভাঙ্গিয়া যাওয়া এবং সংসদ- সদস্যদের অব্যবহিত পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্যবর্তীকালে এই অনুচ্ছেদের (২) বা (৩) দফার অধীন নিয়োগ দানের প্রয়োজন দেখা দিলে সংসদ ভাংগিয়া যাইবার অব্যবহিত পূর্বে যাঁহারা ছিলেন, এই দফার উদ্দেশ্য সাধন কল্পে তাঁহারা সদস্যরূপে বহাল রহিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন।’ এই অনুচ্ছেদটির সোজা বাংলা দাঁড়ায় যে, সংসদ ভেঙ্গে যাওয়ার পর সংসদ সদস্যরা তো আর এমপি থাকতে পারবেন না। কিন্তু এই অনুচ্ছেদ বলে সংসদ ভেঙ্গে গেলেও তারা এমপি থাকবেন। এটিকেই বলে সংসদের দ্বৈত সদস্য পদ, যেটি পৃথিবীতে আর কোথাও দেখা যায় না।
অবশ্য এই গোঁজামিল থেকে আংশিকভাবে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী এবং সাবেক ডাকসু ভিপি তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন যে, নির্বাচনের তিন মাস আগে, অর্থাৎ চলতি বছরের অক্টোবর মাসের দিকে প্রধানমন্ত্রী সেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করতে পারেন। এই সরকারের আকার বর্তমান মন্ত্রিসভার চেয়ে ছোট হবে। এই সরকারে অন্যরাও থাকবে যারা আওয়ামীবান্ধব। জাতীয় পার্টির বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য আছেন। যদি কোন কারণে এই সংসদ নির্ধারিত সময়ের আগেই ভেঙ্গে যায় তাহলেও ৫৬(৪) ধারা অনুযায়ী তাদেরকে মন্ত্রী সভায় নেওয়া যায়। কিন্তু বিএনপির ব্যাপারে সেটি কোন অবস্থাতেই সম্ভব নয়। কারণ বিএনপি সংসদে নাই।
প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ বক্তৃতার পটভ‚মিতে এখন বিএনপির সামনে দুটি পথ খোলা আছে। একটি হলো, নিঃশর্তে সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন অনুযায়ী আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়া। আর না হলে সেই নির্বাচনে অংশগ্রহন করা থেকে শুধু বিরত থাকাই নয়, সেই নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হতে না পারে সেজন্য দেশের কোটি কোটি মানুষকে সাথে নিয়ে দুর্বার, শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক, গণআন্দোলনে নেমে পড়া। গত ১৩ই জানুয়ারী একটি সমাবেশে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, রাস্তায় আন্দোলন নয়, আপনাকে পদত্যাগ করার জন্য সামনের দিনে কি আন্দোলন আসছে, সেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, জেল ভেঙ্গে আনবো এ কথা বলি না। তবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করবেন না, যাতে জেল ভেঙ্গে আনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
আওয়ামী লীগের তরফ থেকে দলীয় প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চুড়ান্ত বক্তব্য পাওয়া গেছে। বিএনপির তরফ থেকে মহাসচিব এবং যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে দলীয় সুপ্রিমো বেগম জিয়ার বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। শুনেছি, বেগম জিয়া নাকি এবারেও আপোসের চোরাবালিতে পা বাড়াবেন না। তাহলে আগামী নির্বাচনকে ঘিরে এই দুইটি বড় দলের অবস্থা কি হবে আই বল টু আই বল?

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
লিয়াকত আলী ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:৪০ এএম says : 0
কী হতে যাচ্ছে তা আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
Total Reply(0)
ইব্রাহিম ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:৩৪ পিএম says : 0
আমরা সাধারণ মানুষ একটা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই
Total Reply(0)
বুলবুল আহমেদ ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:৩৫ পিএম says : 0
দেশের মানুষ এখন খালেদা জিয়ার বতক্তব্যের দিকে তাকিয়ে আছে
Total Reply(0)
তানিয়া ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:৩৬ পিএম says : 0
লেখটাটি খুব ভালো লেগেছে
Total Reply(0)
সোহেল ১৬ জানুয়ারি, ২০১৮, ১২:৩৬ পিএম says : 0
আশা করি নির্বাচন নিয়ে উভয় দল আর একটু চিন্তা করবেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন