ইলেকশনের আগে আওয়ামী লীগ সরকার তার ঘর এবং প্রশাসন সাজিয়ে নিচ্ছে। ইতোমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদকে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হবে। তিনি একজন সাচ্চা আওয়ামী লীগার। ১৯৫৯ সালে কিশোরগঞ্জ কলেজে তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। সেই থেকে আজ ৫৮ বছর ধরে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ করেন। সুতরাং প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাকে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক চয়েস। পুলিশের নতুন আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জাবেদ পাটোয়ারি। গত শনিবার বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে ডিঙ্গিয়ে বিচারপতি মাহমুদ হোসেনকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে। জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে ডিঙ্গিয়ে কনিষ্ঠ বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছে অতীতেও কয়েকবার। কিন্তু এবারের ব্যাপারটি কিছুটা অন্যরকম লেগেছে। কারণ আবদুল ওয়াহহাব মিঞা শুধুমাত্র জ্যেষ্ঠতমই নন, অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে তাকে দায়িত্বভার অর্পণের বিষয়টি সরকারি গেজেটেও প্রকাশ করা হয়েছে। ৪ মাস ধরে তিনি অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি হিসেবে কাজ করেছেন। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে ছুটি দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তার দেশে ফেরার রাস্তা বøক করেছেন বিচারপতি ওয়াহহাবের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের অবশিষ্ট বিচারপতিগণ। তারা সমস্বরে জানিয়েছেন, জাস্টিস সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং নৈতিক স্খলনের ১১টি অভিযোগ রয়েছে। তাই তারা তার সঙ্গে আর এক বেঞ্চে বসবেন না। ফলে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দেশে ফেরা এবং প্রধান বিচারপতির আসনে অবশিষ্ট সময় বসার সমস্ত সম্ভাবনা রুদ্ধ হয়ে যায়।
এখন ঐ ১১ দফা অভিযোগের কী হলো? অভিযোগগুলো যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে না কেন? বিচারপতি ওয়াহহাব মিঞা আশা করেছিলেন, বিচারপতি সিনহা সাহেবের অবসরে যাওয়ার পর তাকে হয়তো প্রধান বিচারপতি বানানো হবে। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন শীর্ষ পদে নিয়োগ দেওয়ার সময় সরকারের নানান রকম হিসাব-নিকাশ এবং বিচার-বিবেচনা থাকে। সেই সব হিসাব-নিকাশ এবং বিচার-বিবেচনা কেউ যদি পূর্বাহ্নেই ধরতে না পারেন তাহলে তাকে পস্তাতে হয়। দুঃখের বিষয়, বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা সরকারের এই সব হিসাব-নিকাশ ধরতে পারেননি।
কেন ধরতে পারেননি সেটা ভেবে আশ্চর্য হতে হয়। যখন বিচারপতি সিনহা ছুটিতে যান তখনও তার অবসরে যাওয়ার চার মাস বাকি ছিল। বিচারপতি ওয়াহহাবের অবসরে যাওয়ার সময় ছিল চলতি বছরের নভেম্বর মাস। নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের অবসরে যাওয়ার সময় ২০২১। আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করলেও মাহমুদ হোসেন সাহেবের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হওয়ার যথেষ্ট সুযোগ ছিল। কারণ ওয়াহহাব মিঞার পর জ্যেষ্ঠতম ছিলেন তিনি। সুতরাং আগামী নভেম্বরে চিফ জাস্টিস হিসেবে ওয়াহহাব মিঞা অবসর গ্রহণ করলে সিনিয়র মোস্ট হিসেবে মাহমুদ হোসান সাহেব এমনিতেই এসে যেতেন। কিন্তু এখন মাহমুদ হাসেন চিফ জাস্টিস হওয়ার পর ওয়াহহাব মিঞার আর কোনো ভবিষ্যৎ রইল না। সুতরাং মাহমুদ হাসান সাহেবের চিফ জাস্টিস হিসেবে নিয়োগের ঘোষণার ৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওয়াহহাব মিঞা পদত্যাগ করেন।
দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের উচ্চতর বিচারালয়ের ওপর দিয়ে গত অক্টোবর মাস থেকে একটি ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেল। প্রথমে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল। বিচারপতি সিনহাসহ তখন ছিলেন ৭ জন বিচারপতি। ৭ জনই কিন্তু ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ে স্বাক্ষর করেছেন। এরপর আপিল বিভাগের অন্যতম বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা অবসরে যান। সংখ্যা হলো ৬। তারপর অনেক ঝড়ঝাপটা পার হলে পদত্যাগ করলেন এসকে সিনহা। সংখ্যা হলো ৫। এখন পদত্যাগ করলেন ওয়াহহাব মিঞা। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতিসহ এখন রয়েছেন মাত্র ৪ জন বিচারপতি। তাদের যত কাজের চাপ সেটি এই ৪ জন দিয়ে করা সম্ভব হবে না। সংবিধান মোতাবেক সরকার ইচ্ছে করলে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতির সংখ্যা বাড়িয়ে ১১ করতে পারে। এই মূহুর্তে, যতদূর শোনা যাচ্ছে, সরকার আরো তিনজন বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। তখন সংখ্যা হবে আবার ৭। এতদিন পর্যন্ত আপিল বিভাগে কোনো নতুন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়নি। এখন নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগে কেন দেওয়া হয়নি এবং এখন কেন দেওয়া হচ্ছে সেই হিসেবটাও আবদুল ওয়াহহাব মিঞা বুঝেছিলেন কিনা জানি না। যাই হোক, এই পর্ব এখন শেষ। সেজন্যই শুরুতে বলেছি, এই সরকার নির্বাচনের আগে তার প্রশাসন তাদের চয়েস মতো পুনর্বিন্যাস করছে।
\দুই\
এখন যাচ্ছি দেশের সবচেয়ে বার্নিং ইস্যু ৮ ফেব্রুয়ারির রায়ের প্রসঙ্গে। এই লেখাটি বের হলো আজ মঙ্গলবার। আর একদিন পরেই বৃহস্পতিবার বেগম জিয়ার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় বের হবে। সেই মামলাটি এবং সেই মামলার রায় এখন শুধুমাত্র টক অব দি টাউনই নয়, এটি এখন টক অব দি কান্ট্রি। ১০/১২ দিন আগেও কী রায় হবে, সেটি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা ছিল। কিন্তু গত ৪/৫ দিন হলো এখন আর সেই রকম জল্পনা-কল্পনা নেই। ইংরেজিতে একটি কথা আছে। সেটি হলো, Foregone conclusion. অর্থাৎ কী ঘটবে সেটি আগে ভাগেই ধরে নেওয়া হয়। বেগম জিয়ার এই মামলার ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। এখন যারা এই বিষয়টি নিয়ে একটু হলেও মাথা ঘামান তারা বলছেন যে, বেগম জিয়ার কমপক্ষে ৩ বছরের সাজা হবে। যদি তিন বছরের, না হলেও ২ বছরের কারাদন্ড হয়, তাহলে আদালত থেকেই তাকে কারাগারে পাঠানো হবে। এই কারাগার সাব জেলও হতে পারে। আর কম করে হলেও যদি তিনি ২ বছরের জন্যও দন্ডিত হন তাহলে আগামী নির্বাচনে তিনি অযোগ্য হয়ে যাবেন। মানুষ এরকম ধারণা করছে কেন?
এরকম ধারণা এজন্য করছে যে দেশে হাজার হাজার লাখ লাখ মামলা রয়েছে। কিন্তু বেগম জিয়ার দুটি মামলা নিয়ে যেরূপ তাড়াহুড়ো করে শেষ করা হচ্ছে তার ফলে অনেকে ধারণা করছেন যে, বেগম জিয়াকে নির্বাচনে অযোগ্য করার জন্যই এই বিচার দ্রæত শেষ করা হচ্ছে। আমরা জানি না, ৮ তারিখের রায় কী হবে। তাই এই কলাম লেখক বা দৈনিক ইনকিলাব এ ব্যাপারে কোনো অগ্রীম কথা বলা থেকে বিরত থাকছে। তবে এই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে বিভিন্ন রকম বিশ্লেষণের ধারা বইছে তার একটি নিম্নরূপ।
\তিন\
এই মহলের মতে, সরকার বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে চায়। কিন্তু বিএনপির সিংহভাগ এই নির্বাচনে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক। এমনও বলা হয় যে, যদি শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করতে হয় তাহলেও তারা করবে। কারণ, তাদের মতে, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে, পক্ষান্তরে বিএনপির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। যে কোনো ধরনের একটি নির্বাচন হলে ভোটাররা যদি ভোট কেন্দ্রে কোনোভাবে যেতে পারে তাহলে বিএনপি তথা ২০ দলের হবে জয় জয়কার এবং আওয়ামী লীগের হবে ভরাডুবি। তাই এটি নিশ্চিত করতে হবে যেন বিএনপি নির্বাচন বয়কট করতে বাধ্য হয়। তাদের হিসাব মতে, বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির অবিসংবাদিত নেত্রী। তাকে যদি নির্বাচনের অযোগ্য করা হয় তাহলে আর বিএনপি নির্বাচনে আসবে না।
এমন একটি জল্পনা-কল্পনার পটভূমিতে আগামী ৮ ফেব্রæয়ারি বৃহস্পতিবার বেগম খালেদা জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষিত হতে যাচ্ছে। সুতরাং এই দিনটি ক্রুশিয়াল। ক্রুশিয়াল সকলের জন্যই। বিএনপির জন্য, ২০ দলের জন্য এবং জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী রাজনীতির জন্য। রায়টি যে নেতিবাচক হবে তেমন ধারণা মানুষের মনে গেঁথে গেল কেনো? কারণটি হলো, রায় হওয়ার অন্তত ৮ দিন আগে পুলিশ অকস্মাৎ সারাদেশে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে দিয়েছে। প্রথম আলোয় দেখলাম, রোববার পর্যন্ত ৪৮০ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই ১৫০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, এই ধরপাকড় চলবে এবং ৮ তারিখের পরেও সেটি অব্যাহত থাকবে। ৮ তারিখে যখন রায় বের হবে ততদিনে গ্রেফতারের সংখ্যা ৬০০/৭০০ ছাড়িয়ে যাবে। আর ৮ তারিখের পরেও যদি সেটি অব্যাহত থাকে তাহলে সেই সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যাবে। অন্যদিকে পত্রপত্রিকায় খবর বের হয়েছে, এই রায়কে কেন্দ্র করে বিএনপিকে কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। এমন কথাও বলা হচ্ছে যে, বিএনপিকে কোথাও দাঁড়াতেই দেওয়া হবে না। দৈনিক ইত্তেফাকের রিপোর্ট মোতাবেক, মফস্বল থেকে ঢাকা আসার সময় ঢাকার প্রবেশমুখে ১৩টি পুলিশ চেক পোস্ট বসানো হবে। পত্রপত্রিকার রিপোর্ট মোতাবেক আগামীকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে ঠিক তল্লাশী না হলেও চেক করা হবে যে নতুন কোনো বোর্ডার এসেছে কিনা। এসে থাকলে কোথা থেকে এসেছে এবং কী জন্য এসেছে।
সাধারণ মানুষ দারুণভাবে বিস্মিত হয়েছে। তারা ভেবে পাচ্ছে না, হঠাৎ করে কেন এই বিপুল পুলিশী তৎপরতা। দেশে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যে সারাদেশে বিএনপির বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান চালাতে হবে। তখন স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মনে এমন প্রশ্নের উদয় হচ্ছে যে, তাহলে কি বেগম জিয়াকে সাজা দেওয়া হবে? সাজা দেওয়া হলে যদি ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয় সেই প্রতিক্রিয়া যাতে না হয় তার জন্যই কি এই প্রিএম্পটিভ পুলিশী অভিযান?
আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-মিনিস্টাররা প্রতিদিন বলছেন যে, রায়কে ঘিরে বিএনপি বড় ধরনের ষড়যন্ত্র পাকাচ্ছে এবং বড় ধরনের নাশকতা ঘটানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। অথচ গত ৩ ফেব্রæয়ারি শনিবার হোটেল লা মেরিডিয়ানে বেগম খালেদা জিয়া যে ভাষণ দিয়েছেন সেটি এক কথায় স্টেটসম্যানসূলভ। তার ভাষণের পূর্ণ বিবরণ মাত্র দুয়েকটি কাগজে ছাপা হয়েছে। সেই ভাষণটি পুরো পাঠ করলে দেখা যায়, বেগম জিয়া কোথাও উস্কানিমূলক বা উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোনো কথা বলেননি। বরং তিনি পরিষ্কার ভাষায় বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য এবং নির্বাচনী সরকারের দাবি আদায়ের জন্য আগামী দিন যে আন্দোলন হবে সেটি হবে তার ভাষায়, ‘শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক এবং গণতান্ত্রিক’। তিনি তার কর্মীদেরকে পরিষ্কার বলেছেন, আপনারা সরকারের পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। মির্জা ফখরুল আগেও বলেছেন এবং সেদিনও বলেছেন, সরকার নিজেই বিএনপির মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে। তিনি কর্মীদেরকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
মানুষের চোখে এটি স্পষ্ট হচ্ছে যে, ইতোপূর্বে অপর একটি বড় দলকে যেরূপ কঠোর হস্তে দমন করা হয়েছে, বিএনপিকেও মনে হয় সেই রূপ কঠোর হস্তে দমন করার চেষ্টা চলছে। বিএনপি যদি সভা, শোভাযাত্রা, মিছিল-মিটিং করতে না পারে, যদি রাস্তাতেও না দাঁড়াতে পারে তাহলে রাজনীতির স্রোত কোন খাতে বইবে? জনগণের চিন্তা-চেতনা এবং ইচ্ছা-অনিচ্ছার বহিঃপ্রকাশ কোন পথে ঘটবে? এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আসন্ন নির্বাচনও ২০১৪ সালের নির্বাচনের মতো হতে পারে। ২০ দলীয় জোট যদি রাস্তায় না দাঁড়াতে পারে তাহলে শুধুমাত্র সেক্যুলার এবং বামপন্থীরা রাস্তায় দাঁড়াবে? যেভাবে চলছে সেভাবে চললে তো দেশের রাজনীতি এক ধারায় একপক্ষীয় হয়ে পড়বে। এক দল বা এক মতের রাজনীতির জন্য তো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। আমি যে কথা বললাম, সেই কথার প্রতিধ্বনি পাবেন ৬ দফায়, ৭০-এর আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে, এমনকি মুজিবনগরের স্বাধীনতার ঘোষণায়। বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতির বাধাহীন বিকাশের জন্য।
journalist15@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন