রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

জমি জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতার

| প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কেশবপুর (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা: কেশবপুর পৌরসভার মধ্যকুল গ্রামের হাজী জমশের খাঁর ওয়াকফ এস্টেট জমির জাল দলিল করার অভিযোগে মামলাবাজ মশিয়ার রহমানকে অবশেষে আদালত জেল হাজতে পাঠিয়েছে। প্রায় ১১৪ বছর আগে হাজী জমশের খাঁ তার নির্মাণ করা মসজিদের নামে ৩৯ বিঘা সাড়ে পাঁচ কাঠা জমি ওয়াকফ করেন। ওই জমির পরিমাণ বাড়িয়ে বর্তমান মোতোয়াল্লি মশিয়ার রহমান জাল দলিল করে গ্রামের শতাধিক পরিবারকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে আসছিল। আদালতের নির্দেশে স¤প্রতি পিবিআই তদন্তÍ করে জালিয়াতি প্রমাণের রিপোর্ট আদালতে দাখিল করলে ১২ ফেব্রæয়ারি যশোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল আদালত প্রতারক মশিয়ার রহমানকে জেলহাজতে পাঠান।
মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার মধ্যকুল গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তরা এবং পুলিশের রিপোর্টে জানা গেছে, কেশবপুর পৌরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যকুল গ্রামের হাজী জমশের খাঁ ১৯০৩ সালের ২৩ জুন তার মধ্যকুল ও ভোগতি মৌজার ৩৯ বিঘা সাড়ে পাঁচ কাঠা জমি মসজিদের নামে ওয়াকফ দলিল করে দিয়ে যান। ওয়াফক ও ভ‚মি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় মশিয়ার রহমান ৩৯.১/৪ বিঘা জমির স্থলে সংখ্যার বাম পাশে একটি ১ সংখ্যা বসিয়ে ১৩৯.১/৪ বিঘা জমির জাল দলিল তৈরি করে। এরপর সে এই জমির ভুয়া রেকর্ড করে মধ্যকুল গ্রামের শতাধীক পরিবারকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে আসছিল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সুপ্রিম কোটের হাইকোর্ট বিভাগে রিভিশন মামলা দায়ের করেন। আদালত রায়ে ১০০ বিঘা জমির জালিয়াতি করা হয়েছে উল্লেখ করে ১৩৯.১/৪ বিঘার স্থলে ৩৯.১/৪ বিঘা জমি বহাল রেখে রায় প্রদান করেন। এরপর সুপ্রিম কোর্টের রায়কে অবমাননা করে মশিয়ার রহমান বাতিলক…ত নামপত্তন কেসের মাধ্যমে মোট ৪৭ একর ৫৩ শতক জমির এস এ রেকর্ড সংশোধন করে নেয়।
এ ব্যাপারে মশিয়ার রহমানের ভাই আসলাম খান জানান, মশিয়ার আমার ভাই হলেও সে আমাদের কোন কথা শোনে না। সে কারনে আমরা তার জামিন নেয়ার চেষ্টাও করছি না। জমির ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তÍব্য করতে রাজি হননি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন