কেশবপুর (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা : পরিবর্তিত জলবায়ুতে সমন্বিত ব্লাস্ট রোগ দমন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় ‘ধানের ব্লাস্ট রোগ পরিচিতি ও দমন ব্যবস্থাপনা শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের উদ্যোগে কেশবপুর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে উদ্ভিদ রোগতত্ত বিভাগ ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট অনুষ্ঠানটি বাস্তবায়ন করে। চলতি বোরো মৌসুমে ব্রাস্ট রোগের হাত থেকে ধানকে রক্ষা করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কেশবপুরকে রোগ প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে এলাকার কৃষক, কীটনাশক ডিলার ও সপ্রসারণ কর্মীদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এ প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। গতকাল সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমীর হোসেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভিদ রোগতত্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহম্মদ আশিক ইকবাল খান। আলোচনায় অংশ নেন ব্রি’র সাতক্ষিরা আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মো. ইব্রাহিম, উদ্ভিদ রোগতত্ত¡ বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোনতাসির আহমেদ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষিবিদ মহাদেব চন্দ্র সানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা সাদেক, আব্দুল লতিফ রানা, জেলা পরিষদ সদস্য হাসান সাদেক প্রমুখ। মূল প্রবন্ধে ড. আশিক ইকবাল খান বলেন, ব্লাস্ট ছত্রাকজনিত ধানের মারাত্মক রোগ। বোরো ও আমন মৌসুমে সাধারণত এ রোগ হয়ে থাকে। এ রোগের আক্রমণে ফলন শতভাগ কমে যেতে পারে। নিয়মমত পরিচর্যা করলে সুফল পাওযা যেতে পারে। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় দেড় শতাধিক কৃষক, কীটনাশক ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা অংশ নেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন