বিনোদন রিপোর্ট: চিত্রনায়ক শাকিব খানসহ গত বছর মুক্তিপ্রাপ্ত রাজনীতি সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গত মঙ্গলবার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সমপা জাহানের আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এ নির্দেশ দেন। এ নিয়ে মোট ৪ বার প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার বাদী বানিয়াচংয়ের ইজাজুল মিয়া অভিযোগ করে বলেছেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃতভাবে সময়ক্ষেপণ করছেন। এখন শুনতে পাচ্ছি মামলার এক নম্বর আসামি শাকিব খানকেই নাকি বাদ দিয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পায়তারা করা হচ্ছে। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এম এ মজিদ জানান, শাকিব খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি প্রতারণা ও মানহানির মামলা। এটি একটি ডকুমেন্টারি এভিডেন্স বেইজ মামলা। প্রতিবেদন দাখিল করতে বিলম্ব হওয়া দুঃখজনক। মামলার আসামির তালিকা থেকে নায়ক শাকিব খানকে বাদ দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজনীতি সিনেমায় নায়ক শাকিব খান নায়িকা অপু বিশ্বাসকে একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে কথা বলেন। সেই মোবাইল নম্বরের আসল মালিক হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের ইজাজুল মিয়া। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর মোবাইল নম্বরটি শাকিব খানের মনে করে ইজাজুল মিয়ার কাছে অনবরত ফোন আসতে থাকে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে ইজাজুল থানায় জিডি করেন। এই অনবরত ফোন আসাকে কেন্দ্র করে তাকে ব্যস্ত থাকতে হওয়ায় সিএনজি চালকের চাকরি হারাতে হয়। তার সংসার ভাঙ্গার উপক্রম হয়। এক পর্যায়ে গত বছরের ২৯ অক্টোবর নায়ক শাকিব খান, রাজনীতি সিনেমার পরিচালক বুলবুল বিশ্বাস, প্রযোজক আশফাক আহমেদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মানহানির অভিযোগে মামলা করেন ইজাজুল মিয়া। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সমপা জাহান হবিগঞ্জের ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর, এবং এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করা হলেও প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত পরবর্তী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে বিলম্বের কারণ ব্যাখ্যাসহ প্রতিবেদন দিতে ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। ৭ কার্যদিবস অতিবাহিত হওয়ার পরও প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত আগামী ১৪ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন