প্র:- ফরয নামাযের জামাআত হওয়ার সময় কেউ মসজিদে এসেছে। সে জামাআত-পূর্ব সুন্নত কখন আদায় করবে?
উ:- ফজরের নামাযের জামাআত হলে এবং শেষ বৈঠক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে জামাআতের ভিতরই সুন্নত পড়তে হবে। আর শেষ বৈঠক পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে বাধ্য হয়ে জামাআতে শামিল হতে হবে। যোহর বা জুমআর সুন্নত হলে জামাআতের ভিতর সুন্নত নামায শুরুই করা যাবে না।
প্র:- কোন নামাযের সুন্নত পড়ার সময় যদি ঐ নামাযের জামাআত দাঁড়িয়ে যায় তাহলে কী করতে হবে?
উ:- এই অবস্থা যদি ফজর নামাযের বেলায় হয় এবং এই রকম আশা করা যায় যে, সুন্নত পড়ে অন্ততঃ শেষ বৈঠকের নাগাল পাওয়া যাবে তাহলে সুন্নত শেষ করেই জামাআতে শামিল হতে হবে। ফজরের সুন্নত ছাড়া অন্যান্য সুন্নতের বেলায় যদি দেখা যায় যে, প্রথম দুই রাকাতের সময় জামাআত দাঁড়িয়েছে তাহলে প্রথম বৈঠকে সালাম ফিরিয়ে জামাআতে শামিল হতে হবে। আর যদি শেষ দু’রাকাতের মধ্যে জামাআত দাঁড়ায় তাহলে চার রাকাত সুন্নত পূর্ণ করেই জামাআতে শামিল হওয়া যাবে এবং তাই করতে হবে।
প্র:- কাযা সুন্নতগুলো ফরযের পরের সুন্নতের আগে পড়বে না পরে?
উ:- আগে পড়াই উত্তম।
প্র:- দু’জন মিলে জামাআত আদায় করলে কিভাবে দাঁড়াতে হবে?
উ:- মুক্তাদী ইমামের ডান পাশে সামান্য পিছনে
দাঁড়াবে।
প্র:- মুক্তাদীদের অপছন্দ সত্তে¡ও কোন ইমামের ইমামতি করা কেমন?
উ:- ধর্মীয় কোন কারণে কোন ইমামের প্রতি অসন্তুষ্টি বা অনাস্থা সৃষ্টি হলে, তার জন্যে ইমামতি করা মাকরূহে তাহরীমী। তবে সামাজিক, রাজনৈতিক বা বৈষয়িক কারণে ইমামের প্রতি অসন্তুষ্টি গ্রহণযোগ্য নয়।
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন