পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার আমড়াগাছিয়া ও বেতমোর ইউনিয়ন সীমান্ত (সাংরাইল) খালের ব্রিজটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দুই ইউনিয়নের লোকজনের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এ নাজুক ব্রিজটি পারাপার হতে গিয়ে প্রতিদিন কোমলমতি শিক্ষার্থী ও পথচারীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব রয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পিরোজপুর জেলা পরিষদের অর্থায়নে প্রায় ২০-২২ বছর পূর্বে নির্মিত এ লোহার ব্রিজটি গত চার-পাঁচ বছর আগেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ব্রিজের পাটাতন না থাকায় বড় বড় ফাঁকার সৃষ্টি হয়েছে এবং লোহায় ভিম মরিচিকা ধরে ঝরে পরতে দেখা গেছে। ব্রিজ পারাপারের সময় ব্রিজটি দোলনার মতো দোলে।
চলাচলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার লোকজনকে ব্রিজের ওপর গাছ ও গাছের চেড়াই কাঠ ফেলে কোনোভাবে চলাচল করতে দেখা গেছে। ব্রিজ সংলগ্ন ৭৮ নম্বর জানখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেন জানান, চলাচলে বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী এই ব্রিজ দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যাওয়া-আসা করে। ফলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো শিক্ষার্থী ব্রিজ দিয়ে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
আমড়াগাছিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম খলিল ফরাজী জানান, চলাচলের অযোগ্য এ ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন বেতমোর-আমড়াগাছিয়া ও বড়মাছুয়া ইউনিয়নের এলাকাবাসীসহ ব্রিজ সংলগ্ন একটি প্রাথমিক, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ জেলা পরিষদকে অবহিত করলেও এটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
পিরোজপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী তোফায়েল হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদ সদস্য এ সমস্যার বিষয়টি আমাকে লিখিতভাবে জানালে এ জনগুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন