ফিফা প্রীতি ম্যাচ, জাকার্তা এশিয়ান গেমস ও সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে কাতারের দোহায় দুই সপ্তাহ অনুশীলন ক্যাম্প করেছে জাতীয় ফুটবল দল। ক্যাম্প শেষে গত ১৪ মার্চ ঢাকায় ফিরেছে তারা। দেশে ফিরে দু’দিনের ছুটি কাটিয়ে গতকাল আবারো ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন মামুনুলরা। তবে কাতার ক্যাম্পের দল থেকে চারজনকে ছেঁটে ফেলা হলেও নতুন করে যোগ হয়েছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের ৮ ফুটবলার। কাতার ক্যাম্পের ২৪ ফুটবলার থেকে বাদ পড়া চারজন হলেন- সাদ্দাম হোসেন অ্যানি, রহিম আহমেদ, সুশান্ত ত্রিপুরা এবং মাহফুজ হাসান প্রীতম। জাতীয় দলের অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডের চোখে এদের পারফরমেন্স নজরকাড়া ছিলো না বলেই তারা বাদ পড়েছেন। ক্যাম্পে নতুন যোগ হওয়া আবাহনীর আট ফুটবলারের নাম প্রাথমিক তালিকায় থাকলেও তারা শুরু থেকে ওর্ডের ক্যাম্পে ছিলেন না। এএফসি কাপ নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে তারা বিকেএসপির ক্যাম্পে উঠতে পারেননি, যেতে পারেননি কাতারেও। আট ফুটবলার হলেন- মামুন মিয়া, শহিদুল আলম সোহেল, সোহেল রানা, ওয়ালী ফয়সাল, নাবিব নেওয়াজ জীবন, টুটুল হোসেন বাদশা, সাদ উদ্দিন এবং নাসির উদ্দিন চৌধুরী। গত মৌসুমে দারুণ খেলে সবার নজর কাড়লেও জাতীয় দলে জায়গা পাননি আবাহনীর দুই খেলোয়াড় রুবেল মিয়া এবং ইমন মাহমুদ বাবু। ২০১২ সালে জায়গা পাওয়ার পর এই প্রথম জাতীয় দলের বাইরে থাকলেন গত মৌসুম আবাহনীতে খেলা ডিফেন্ডার রায়হান হাসানও।
কাতার মিশন শেষে এবার জাতীয় দলের যাত্রা মিশন থাইল্যান্ড। আগামী ২০ মার্চ থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন মামুনুল, ফয়সালরা। তার আগে ঢাকায় চলবে তিন দিনের অনুশীলন ক্যাম্প। কাল পল্টনের হোটেল র্ফাসে ফুটবলারদের রিপোর্টিংয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় থাইল্যান্ড মিশনের প্রস্তুতি। সহকারী কোচ মাহবুব হোসেন রক্সির কাছে রিপোর্ট করেন খেলোয়াড়রা। এরপর যে যার মতো হোটেল কক্ষে চলে যান। এ সময় কেউ গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। কাতার ক্যাম্প নিয়ে তো নয়ই। মূলত প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ডের নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোনো ফুটবলারই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি। তবে দেশসেরা মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম শুধু বলেছেন, ‘কাতার ক্যাম্প ভালো হয়েছে। সেখানকার আবহাওয়া বিশেষ করে রাতে কিছুটা ঠান্ড ছিল।’ কাতার ক্যাম্পের প্রশংসা করেছেন ফয়সাল মাহমুদ, নুরুল নাইয়ূম ফয়সাল, জাফর ইকবাল, রহমত মিয়া ও বিপলু আহমেদ। কাল রিপোর্টিং শেষে দুপুর ১টায় ক্লোজ ডোর মিটিংয়ে বসে দল। বিকালে কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামের টার্ফে অনুশীলন করেন মামুনুলরা।
আগামী ২০ মার্চ থাইল্যান্ডে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় দলের। সেখানে প্রস্তুতি ক্যাম্প করার পাশাপাশি স্থানীয় ক্লাব দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারও কথা রয়েছে। থাইল্যান্ড থেকে লাল-সবুজরা ২৫ মার্চ লাওসের উদ্দেশে যাত্রা করবে। সেখানে ২৭ মার্চ লাওস জাতীয় দলের বিপক্ষে একটি ফিফা টায়ার-১ প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন