সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পাল্টে গেছে চিকিৎসাসেবা

আদমদীঘি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইসিজি আলট্রাসনোগ্রাফি ও অপারেশন শুরু

| প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে মনসুর আলী:
বগুড়ার আদমদীঘি হাসাপাতালে সিজারিয়ান, পিথ্যথলির পাথরসহ সকল অপারেশন, ইসিজি, বেষ্টফিডিং সেন্টার, ডিজিটাল আলট্রাসনোগ্রাফি করণসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত হওয়ায় এখন সকল প্রকার স্বাস্থ্য সেবা পেতে শুরু করায় পাল্টেগাছে উপজেলা বাসীর জবিনমান। এখন চিকিৎসা নিতে এলাকাবাসীদের আর জেলা বা প্রইভেট ক্লিনিকে যেতে হয়না। গত ২৬ ফেব্রæয়ারী বগুড়া জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ শামসুল হক নতুন ডিজিটাল আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন উদ্বোধন করার পর স্বাস্থ্য সেবায় পাল্টে গেছে এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। এখন দরিদ্র রোগিরা অল্প টাকার বিনিময়ে তাদের নানা রোগ নির্ণয়ের সুযোগ শুবিধা পাচ্ছেন এই হাসপাতালে।
আদমদীঘি উপজেলার ৩১ শয্যা স্বাস্থ্য কমেেপ্লক্সটি ২০১৩ সালে ৫০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করা হয়। সে সময় অপারেশনসহ রোগ নির্ণয়ে জন্য বেশ কিছু সরঞ্জাম সরবরাহ করা হলেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের স্বল্পতার কারনে চালু করা যায়নি। সম্প্রতি ডাঃ শহীদুল্লাহ দেওয়ান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করার পর গ্রামীন জনগোষ্টির নিকট স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছানোর লক্ষ্যে প্রথমে সিজার, পিথ্যথলির পাথর, হারনিয়া, পাইলসসহ বিভিন্ন ধরণের অপারেশন চালু করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে ইসিজি মেশিন, বেষ্টফিডিং সেন্টার চালু, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা সংস্কার, সার্বক্ষণিক পরিচ্ছন্নতার পাশাপশি বহিঃবিভাগে আগত রোগিদের বসার ৬০টি চেয়ার স্থাপন করে হাসপাতালের পরিবেশ আকর্ষণীয় করে তোলেন। ডিজিটাল আলট্রাসনোগ্রাফি মেশিন চালু করার পর থেকে এই হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে প্রায় ৪লক্ষাধিক লোকের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য এই হাসপাতাল ও ৫টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মিলে ৩১জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ১জন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা, ২জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ৫জন মেডিক্যাল অফিসারসহ ৮জন চিকিৎসক। চিকিৎসক সংকট থাকলেও ডিজিটাল চিকিৎসা যন্ত্রপাতি স্থাপনের মাধ্যমে জরুরী, আন্ত: ও বর্হিবিভাগে রোগিদের সর্বত্তোম সেবাদান চালানোর কারনে উপজেলাবাসি ভালো স্বাস্থ্য সেবা পেতে শুরু করেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ শহীদুল্লাহ দেওয়ার জানান, আলটাসনোগ্রাফি করতে সম্পুর্ন পেট ২শ ২০ টাকা ও অর্ধ পেট ১শ১০ টাকা সরকারি রশিদের মাধ্যমে জমা দিয়ে রোগিরা করতে পারবেন। সকলের সহযোগীতা নিয়ে তিনি হাসপাতালটিকে মডেল হিসাবে গড়ে তুলতে চান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন