সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

লক্ষ্মীপুরের চরাঞ্চলে ঢেড়শ চাষে সাফল্য

৩০ কোটি টাকা বিক্রির আশা করছে জেলা কৃষি বিভাগ

লক্ষ্মীপুর থেকে মো.কাউছার | প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

লক্ষ্মীপুরের চরাঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ঢেড়শ চাষ। এখানকার ঢেড়শ ঢাকা,চট্রগ্রাম,খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি হচ্ছে। তবে ভালো ফলন হলেও দাদন ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে দিশাহারা চাষীরা। দাদনের টাকা পরিশোধ করার পর তেমন লাভ হয়না বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। লাভজনক হওয়ায় দিনদিন ঢেড়শ চাষের দিকে ঝুকছেন এখানকার চাষীরা। ৩০ কোটি টাকা বিক্রির আশা করছেন জেলা কৃষি বিভাগ।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৫টি উপজেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে ঢেড়শ চাষ হয়েছে। গত বছর চাষ হয়েছে এক হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের চেয়ে ৫শত হেক্টর বেশি। প্রতি হেক্টর জমিতে ১২ থেকে ১৫ মে.টন ফলন হয়। প্রতি কেজি ঢেড়শ পাইকারী দরে বিক্রি হচ্ছে ৩৫/৪০ টাকা। বিশেষ করে এবার ঢেড়শ আবাদ বেশি হয়েছে রামগতির চররমিজ,চরঘোসাই,চরআবদুল্লাহ,বড়খেরী ও লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ, পিয়ারাপুর, টুমচর ও মজুচৌধুরীর হাট এলাকায় ঢেড়শ চাষ একটি লাভজনক ফসল। বীজ বপনের ৫০দিনের মধ্যে ফলন আসতে শুরু করে। ফসল বপনের আগেই মহাজনদের কাছ থেকে মোটা সুদে দাদনের টাকা নিয়ে চাষ করতে হয়। দাদনের টাকা নিয়ে চাষ করার কারনে তেমন লাভ থাকেনা। ভালো ফলন হলেও দাদন ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে দিশাহারা চাষীরা। দাদনের টাকা পরিশোধ করার পর তেমন লাভ হয়না বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। সরকারীভাবে বিনা সুদে লোন ও কৃষি ভূর্তকী দেয়ার দাবী জানান তারা।
লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলাল হোসেন খাঁন জানান,প্রতি হেক্টর জমিতে ঢেড়শ উৎপাদন হয় ১২ থেকে ১৫ মে.টন। ঢেড়শ চাষ করতে অন্য ফসলের চেয়ে খরচ অনেক কম। আবহাওয়া ভাল থাকায় ফসল হয়েছে ভাল। জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাশ্ববর্তী জেলায়, ঢাকা,চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয় এষানকার ঢেড়শ। যার বাজার মূল্যে ৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন