রংপুরের পীরগঞ্জে সরকারি বিধি উপেক্ষা করে একাধিক বিদ্যালয় সমুহে ডে ও নৈশ কোচিংসহ প্রাইভেট কোচিং অব্যাহত রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থী অভিভাবকগন নৈশ কোচিং এর কবলে পড়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কাদিরাবাদ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান উক্ত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অভিলাশ চন্দ্র ও মন্জুর হোসেন নামের ২জন সহকারি শিক্ষকসহ স্থানীয় আরো ৩ জন শিক্ষককের সমম্ময়ে সপ্তাহে শুক্রবার ছাড়া বাকি ৬ দিন ব্যাপি ওই বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ২৫০ থেকে ৩শ’ জন শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামুলক নাইট কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এ নাইট কোচিং-এর জন্য প্রতিজন শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবকের নিকট থেকে শ্রেণী ভেদে ১৬ দিনে মাস হিসেবে প্রতি মাস ৩শ’ হতে ৪শ’ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন-বিদ্যালয়ে কোচিং সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এটি সত্য কিন্তুু এসএসসি পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রিদের রেজাল্ট খারাপ হলে এর দায় কে বহন করবে? সে জন্য বিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষায় এই কোচিং চালানো হচ্ছে। আমার মতে সব বিদ্যালয়ে কোচিং উম্মুক্ত রাখা প্রয়োজন। এদিকে পীরগঞ্জ উপজেলা সদরেও প্রাইভেট কোচিং বানিজ্য থেমে নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন