মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

উপজেলা চেয়ারম্যানসহ আসামি ৭

ফুলগাজীতে প্রতিবন্ধী নির্যাতন

ফেনী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার কিসমত ঘনিয়ামোড়া গ্রামে রাতের অন্ধকারে প্রতিবন্ধী মহিলা ও তার স্কুল পড়ুয়া ২ সন্তানকে নির্যাতন চালিয়ে বাড়িছাড়া করার অভিযোগে ১২ই এপ্রিল বৃহস্পতিবার ফেনীর আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে মামলা দায়ের করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালতের পিটিশান মামলা নং-১১/১৮ ইং। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআইবি)কে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে প্রতিবন্ধী ফরিদা বাহার রিনাকে বিয়ের সময় একখন্ড জমি দেন তার বাবা হাবিবুল্ল্যাহ বাহার। কিন্তু বর্তমানে জায়গা জমির দাম বেড়ে যাওয়ায় ভাইদের প্ররোচনায় তার বসতবাড়ির ঐ জায়গা জবর দখলে নেমেছে পুরো পরিবার। গত কয়েক মাস আগে রিনা তার পিতার দেয়া একখন্ড জমির উপর বসতঘরটিতে বসবাস করে আসছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে ঐ বসতঘরটি তার পিতা ও ভাইরা মিলে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় । পরে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে চাইলে তারা রাস্তার পাশে দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
সর্বশেষ দোকান থেকেও বের করে দিতে গত সোমবার ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল আলীমের নেতৃত্বে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুরা আজিজ,সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী রিনার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় রিনা নামাজ পড়ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান পরিচয়ে দরজা খোলার পর স্বয়ং ্আবদুল আলিম তার উপর হামলা চালায়। এসময় অন্যান্য আসামীরাও রিনা তার কন্যা ফারজানা ও ছেলে জোবায়েরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
আসামীরা সবাইকে মেরে রক্তাক্ত করে গোয়াল ঘরের সামনে ফেলে দেয় বলে জানায় রিনার স্বামী বেলাল। আহতাবস্থায় বেলাল তার স্ত্রী সন্তানদের উদ্ধার করে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এদিকে নিজ বাড়ি-ঘর হারিয়ে বর্তমানে বেলাল ও তার পরিবার পথে পথে ঘুরছে। তার ২ সন্তানের পড়ালেখা বন্ধ হতে চলেছে । তারা গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবন্ধী ফরিদা বাহার রিনা বলেন, উল্লেখিত আসামীরা যে কোন মহুত্বে তাদেরকে হত্যা করতে পারে। তাই তার স্বামী সহ দুই সন্তানের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এবং হারানো ঘরবাড়ি ফিরে পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এ বিষয়ে জানার জন্য রিনার পিতা হাবিবুল্লাহ বাহারকে ফোনে পাওয়া যায়নি। উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আলিমকে ফোন করা হলে তিনি রাত সাড়ে নয়টার সময় দলবল নিয়ে প্রতিবন্ধীর বাড়িতে সালিশ করার জন্য গিয়েছেন এ কথা স্বীকার করলেও হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন