লক্ষীপুরে যৌতুকের দাবীতে জোসৎনা বেগম গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সুজনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার সকালে গৃহবধুর লাশ সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী সুজনসহ অন্যরা। সদর উপজেলার পিয়ারাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে । নিহতের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, বিয়ের পর থেকে গৃহবধু জোসৎনা বেগম ও তার পরিবারকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় স্বামী সুজনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে প্রায় জোসৎনা বেগমকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালাত স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন । যৌতুকের জন্য ঘটনার আগের দিন শুক্রবার দিনে এবং রাতে স্বামী সুজনসহ অন্যরা একাধিক বার তাকে নির্যাতন চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা। এক পর্যায়ের রাতের কোন এক সময়ে জোসৎনা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করে তারা। এ ঘটনা ধামা-চাপা দেয়ার জন্য সকালে গলায় ফাঁস দেয়ার কথা বলে নিহতের লাশ সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় সুজন ও শ^শুরবাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন