প্রাকৃতিক কারণে পাহাড় ধস হলেও বিগত বছরের ন্যায় এবছর আসন্ন বর্ষায় রাঙামাটি জেলায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঠেকাতে আগাম উদ্যোগ নিয়েছে রাঙামাটির জেলা প্রশাসন। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ রাঙামাটি শহরের অতি ঝঁকিপূর্ণ এলাকাসমুহে সরেজমিনে গিয়ে সেখানে বসবাসরত লোকজনের সাথে কথা বলেন। এসময় তিনি গত বছর যেসব স্থানে পাহাড় ধস হয় সেসব স্থানগুলোসহ রাঙামাটি শহরের শিমুলতলী, নতুন পাড়া এলাকা, মনতলাসহ ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত লোকজনের সাথে কথা বলে তাদেরকে এবার আসন্ন বর্ষায় আগেভাগেই আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার আহবান জানিয়েছেন। জেলা প্রশাসক বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার পরিকল্পনা হিসেবে যেসব কার্যক্রম হাতে নিয়েছি; এর অংশ হিসেবে শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে আমরা সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিচ্ছি। এছাড়া সবাইকে সচেতন করার কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘স্থানীয় এলাকাবাসীদের নিয়ে জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সমন্বয়ে আমরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সচেতনতামূল মতবিনিময় সভায় করব। এরমাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বাসিন্দারা যাতে করে যেকোনও দুর্যোগর আগেই নিরাপদ স্থানে সরে যেতে পারে।’ জেলা প্রশাসক জানান, দরিদ্র জনগোষ্ঠির লোকজনের জন্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দূর্যোগকালীন সময়ে বিপদগ্রস্থ মানুষের জন্যে পাশে দাঁড়াতে রাঙামাটির জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ সম্পূনর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করে রেখেছি। এসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ ছাড়াও এসময় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ১২০ জন নিহত ও দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়। এছাড়া জেলায় ব্যাপক ঘরবাড়ি, গবাদি পশুসহ, চাষকৃত ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়, ব্যাপক এই ক্ষয়ক্ষতির ধাক্কা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি রাঙামাটিবাসী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন