প্র:- বেনা করার জন্য কিছু শর্ত রয়েছে; সেগুলো কি?
উ:- ১. ওযু করা ওয়াজিব হয়ে যায়, এরকম হদস অনিচ্ছাসত্তে¡ও ঘটে গেলে।
২. নামাযীর শরীরেই ওযু ভঙ্গের কারণ ঘটতে হবে; বাইরে থেকে কোন কিছু লেগে শরীর অপবিত্র হলে নামায ছেড়ে দিতে হবে। পুনরায় ঐ নামাযের উপর বেনা করা যাবে না।
৩. এরকম হদস হতে হবে যা সচরাচর ঘটে থাকে। অজ্ঞান বা অসুস্থ হয়ে নামায ছেড়ে দিলে, আর বেনা করা যাবে না।
৪. হদস অবস্থায় কোন রোকন অতিবাহিত হতে হবে।
৫. আসার পথে কোন রোকন (যেমন কিরাত পড়া) আদায় করা যাবে না।
৬. এর মধ্যে নামাযাবস্থার পরিপন্থী কোন কাজ করা যাবে না।
৭. প্রয়োজনাতিরিক্ত পথ চলতে পারবে না।
৮. বিনা কারণে সময় নষ্ট করা যাবে না।
৯. পূর্বের কোন হদসের কথা স্বরণ হয়ে গেলে আর বেনা করা চলবে না।
১০. ইমাম এবং মুক্তাদীর মধ্যে আড়াল হতে পারবে না।
প্র:- কোন নামাযের সুন্নত পড়ার সময় যদি ঐ নামাযের জামাআত দাঁড়িয়ে যায় তাহলে কী করতে হবে?
উ:- এই অবস্থা যদি ফজর নামাযের বেলায় হয় এবং এই রকম আশা করা যায় যে, সুন্নত পড়ে অন্ততঃ শেষ বৈঠকের নাগাল পাওয়া যাবে তাহলে সুন্নত শেষ করেই জামাআতে শামিল হতে হবে। ফজরের সুন্নত ছাড়া অন্যান্য সুন্নতের বেলায় যদি দেখা যায় যে, প্রথম দুই রাকাতের সময় জামাআত দাঁড়িয়েছে তাহলে প্রথম বৈঠকে সালাম ফিরিয়ে জামাআতে শামিল হতে হবে। আর যদি শেষ দু’রাকাতের মধ্যে জামাআত দাঁড়ায় তাহলে চার রাকাত সুন্নত পূর্ণ করেই জামাআতে শামিল হওয়া যাবে এবং তাই করতে হবে।
প্র:- মুক্তাদীদের অপছন্দ সত্তে¡ও কোন ইমামের ইমামতি করা কেমন?
উ:- ধর্মীয় কোন কারণে কোন ইমামের প্রতি অসন্তুষ্টি বা অনাস্থা সৃষ্টি হলে, তার জন্যে ইমামতি করা মাকরূহে তাহরীমী। তবে সামাজিক, রাজনৈতিক বা বৈষয়িক কারণে ইমামের প্রতি অসন্তুষ্টি গ্রহণযোগ্য নয়।
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন