প্রশ্ন : আমার মা ইসলামী আইন মোতাবেক সম্পত্তির সুষ্ঠু বন্টন করতে চাইলেও আমার ভাই বারংবার তার অংশ প্রত্যাখ্যান করছে। এমতাবস্থায় করণীয় কি? আমার আম্মা কি নিজের পুত্র বেঁচে থাকতে অন্য কোন মাহরামের সঙ্গে হজ্জে যেতে পারবেন?
উত্তর : আপনার মা যদি ইসলামী আইন মোতাবেক সম্পত্তি বণ্টন করতে চান, তাহলে তা একদম সঠিক আছে। আপনার ভাই তা মানতে বাধ্য। ইচ্ছামতো সে বেশি নিতে পারে না। খুশি হয়ে কম নিতে পারে। আমাদের জানা নেই সে কি করতে চাচ্ছে। এমতাবস্থায় আপনাদের উচিত শরীয়তের ওপর মজবুত থাকা। এরপর যদি নিজেরা কোনোরূপ সমঝোতায় আসতে চান, তাহলে সমাজ ও আইনের লোক সাথে নিয়ে তা করতে পারেন। তবে, শরীয়তের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। নিজের পুত্র বেঁচে থাকতেও অন্য কোনো শরীয়ত অনুমোদিত তথা মাহরাম ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে হজ্জ করতে কোনো সমস্যা নেই।
প্রশ্ন : আমার এলাকার এমপি প্রার্থী আমার কাছে ইলেকশনের জন্য চাঁদা নিয়েছেন, আমি নিরুপায় হয়ে তাকে টাকা দিয়েছি এটি কি হারাম হবে?
উত্তর : অবশ্যই হারাম হবে। আপনি নিরুপায় হয়ে চাঁদা দিয়েছেন, আর তিনি জোর করে চাঁদা নিয়েছেন। যদি এমন হয়, তাহলে এখানে প্রশ্ন করার কিছুই থাকে না। প্রতিটি মানুষই এর জবাব জানে। এমন চাঁদাই হারাম। তবে, আপনি যেহেতু নিরুপায় ও মজলুম, সুতরাং আপনার গুনাহ হবে না। প্রতিবাদ করতে পারলে ভাল, না পারলে এর বিরুদ্ধে সচেতন থাকুন, আর মনে মনে এ পরিস্থিতি পাল্টানোর চিন্তা-ভাবনা লালন করুন। তাহলে আপনি গোনাহগার হবেন না।
প্রশ্ন : আমার পছন্দের প্রার্থী টাকার অভাবে নির্বাচন করতে পারছে না। তাকে যদি আমি টাকা দিয়ে অথবা চাঁদা তুলে সাহায্য করি, এটি কি জায়েজ হবে?
উত্তর : আপনার পছন্দের প্রার্থী যদি ইসলামবিরোধী অ্যাজেন্ডা নিয়ে নির্বাচন করে, তা হলে তার টাকা-পয়সা কম থাকলেও তারে সাহায্য করা ঠিক হবে না। আর যদি সাহায্য করার মতো লোক হয়, আপনি ইচ্ছা করলে সাহায্য করতে পারেন। তবে, চাঁদা করা নিয়ে কিছু কথা আছে। শর্ত মেনে চাঁদা করতে হবে। কোনো মানুষকে বেকায়দায় ফেলে, জোর করে, লজ্জায়, ভয়ে বা অনিচ্ছা সত্ত্বেও চাঁদা দিতে বাধ্য করা যাবে না। সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃত ও নিঃস্বার্থভাবে খুশি হয়ে যদি কেউ চাঁদা দেয়, তা হলে তা নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, এ প্রার্থী যেন ইসলাম বিরোধী মতাদর্শের লোক না হয়। এমন হলে নিজে বা চাঁদা করে দেয়া টাকার হিসাব আল্লাহর কাছে দিতে পারবেন না।
প্রশ্ন : ভেজা চুল নিয়ে কি নামাজ পড়া যাবে? খোঁপা করে নামাজ পড়া যাবে?
উত্তর : শরীর যদি পাক থাকে, ভেজা চুলও যদি পাক থাকে, তা হলে নামাজ পড়া যাবে। শুধু চুলগুলো ভেজা থাকা নামাজের পথে কোনো অন্তরায় নয়। খোঁপা করেও নামাজ পড়া যাবে। তবে, সব চুল ঢেকে রাখা নামাজের জন্য জরুরি। খোলা চুল যেমন ঢেকে রাখবেন, খোঁপাও ঢেকে রাখবেন, বিনুনিও ঢেকে রাখবেন। ভেজা চুলও তেমনই ঢেকে রাখবেন। শুকনো হলেও ঢেকে রাখতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন