প্রশ্ন : আমাদের পাশের বাড়ির হিন্দু ভদ্রলোক মারা গেছেন। তার ছেলেরা শ্রাদ্ধের দাওয়াত দিয়েছেন। আমরা যেতে চাই নাই। কিন্তু তারা শ্রাদ্ধের দিন আমাদের বাড়িতে চাল, ডাল, মাছসহ যাবতীয় খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো, এসব কি খাওয়া যাবে?
উত্তর : খাওয়া হারাম হবে না। তবে, না খাওয়াই উত্তম। হিন্দু বলে নয়, মুসলিম মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনেরা যে মেলা, দাওয়াত, খরচ, জিয়াফত ইত্যাদি করে, সতর্ক ব্যক্তিরা এসব থেকেও দূরে থাকেন। মুসলিম মনীষীদের মধ্যে একটি কথা চালু আছে যে, ‘ত্বআ’মুল মাইয়্যিতি ইউমিতুল ক্বালব’ অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির জন্য যে খানা খাওয়ানো হয়, তা খেলে অন্তরের মৃত্যু ঘটে। আধ্যাত্মিক ক্ষতি হয়। সুতরাং সচেতন ব্যক্তিরা এসব খানা এড়িয়ে চলেন। অবশ্য অভাবী কিংবা স্বল্প আয়ের লোকেদের জন্য এসব খানায় কোনো সমস্যা নেই। তারা প্রয়োজনে এসব খানা নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। হিন্দুদের শ্রাদ্ধের খানাও অনুষ্ঠানে শরিক হয়ে খাওয়া নিষেধ। আপনাকে যেহেতু তারা খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছেন, সেসব আপনি খেতে পারেন। তবে, তাদের না জানিয়ে এসব অভাবী লোকেদের দিয়ে দেয়াই উত্তম। তারা যেন মনে কষ্ট না নেয়, আর আপনিও অনুত্তম খাদ্যগ্রহণ থেকে রক্ষা পান। অবশ্য এ খানা আপনার জন্য হারাম নয়। খেয়ে থাকলেও কোনো সমস্যা হবে না।
প্রশ্ন : কোনো হিন্দু দম্পতি ইসলাম গ্রহণ করলে কি ইসলামী রীতি অনুসারে তাদের বিয়ে পুনরায় পড়াতে হবে?
উত্তর : অমুসলিম দম্পতি একই সাথে ইসলাম গ্রহণ করলে তাদের বিয়ে বহাল থাকে। ইসলামী রীতি অনুসারে নতুন করে তাদের বিয়ে পড়াতে হয় না।
প্রশ্ন : কোনো স্ত্রীলোকের তার পূর্বের স্বামীর সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর তার সংসারের সন্তান ছিল। পরে স্ত্রীলোকের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়। এখন কি ওই সন্তানের পরিচয়ের জন্য তার বর্তমান স্বামীর নাম ব্যবহার করতে পারবে?
উত্তর : আইনগতভাবে এ সন্তানের বাবা মহিলার আগের স্বামী। শরিয়তও তাই বলে। এই ছেলে বা মেয়ের নাম তার নিজ বাবার পরিচয়েই থাকা উচিত। তাকে মহিলার নতুন স্বামীর সন্তান হিসেবে পরিচিত করলে ভবিষ্যতে অনেক সমস্যা ও ফেতনা হবে। সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলা হবে, পর্দার বরখেলাপ হবে, আত্ম পরিচয়ের সঙ্কটও থাকবে। সুতরাং তাকে তার নিজ বাবার পরিচয়েই থাকতে দিন। মা হিসেবে তো মহিলার নাম থাকছেই।
প্রশ্ন : আমার জানার বিষয় হলো, অজু করা অবস্থায় যদি কারো অজু ভেঙে যায় তাহলে অজু কি আবার শুরু থেকে করতে হবে, নাকি বাকি ওজু সমাপ্ত করবে? অর্থাৎ কেউ অজু করতেছে এবং মাথা মাসাহ পর্যন্ত পৌঁছে গেছে, এমন সময় তার বায়ু বের হয়ে অজু ভেঙে গেল। এ অবস্থায় কি তার শুরু থেকে অজু করতে হবে, নাকি বাকি পা ধুয়ে অজু সমাপ্ত করবে?
উত্তর : অজু করার মধ্যে অজু ভঙ্গের কারণ ঘটলে পূর্ণ অজুই আবার করতে হয়। অজুর পর যেমন কোনো কারণ ঘটলে আবার অজু দোহরাতে হবে, তেমনিভাবে আধা অজুর মধ্যে অজু ভাঙলেও আবার শুরু থেকে অজু করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন