বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রশ্ন : পৃথিবীর প্রথম সহিফাখানা বর্তমানে কোথায় কী অবস্থায় আছে, তা জানতে চাই।
উত্তর : আল্লাহপাক নবী-রাসূলগণের নিকট অনক সহিফা বা পুস্তিকা নাজিল করেছেন। অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে নবীদের যেসব প্রত্যাদেশ এসেছে, সেগুলিই ছোট-বড় এক একখানা গ্রন্থের আকারে নবীর অনুসারীরা সংরক্ষণ করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু এক নবীর শিক্ষা বিস্মৃত হয়ে মানুষ যখন গোমরাহিতে পতিত হয়েছে, তখন সে সব পবিত্র গ্রন্থ বা সহিফার বিশুদ্ধতাও বিলুপ্ত হয়েছে। নতুন সহিফা আসার পর আগের সহিফা মানুষ ভুলে গেছে কিংবা অপ্রয়োজনীয় বিবেচনায় পরিত্যক্ত হয়েছে। এর পরও পবিত্র আসমানী প্রত্যাদেশ রূপে মানুষ যে সব গ্রন্থের স্মৃতি ধরে রেখেছে, সেগুলোর মোট সংখ্যা চারশতের মতো বলা হয়। এর মধ্যে সর্বপ্রথম মানব আদম (আ.)-এর নিকট আগত প্রত্যাদেশ বা সহিফা নামে কোনোটিই চিহ্নিত হয়নি। সে মতে, পৃথিবীর প্রথম সহিফাখানা কোথায় কি অবস্থায় আছে তা বলা এখন আর কারো পক্ষে সম্ভব কি না তা সহজেই বিবেচ্য।
প্রশ্ন : হজরত শীশ (আ.)-এর জন্মবৃত্তান্ত জানতে চাই।
উত্তর : হজরত শীশ (আ.) ছিলেন হজরত আদম (আ.)-এর পুত্র এবং পরবর্তী নবী। আমাদের উপমহাদেশে তার জন্ম এবং এ দেশেই তার ইন্তেকাল হয়েছিল বলে কোনো কোনো তাফসির গ্রন্থে উল্লেখ আছে। হজরত শীশ (আ.) স্বাভাবিকভাবেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইহুদিদের বর্ণনায় তার জন্মবৃত্তান্ত সম্পর্কিত যেসব অলিক কাহিনী বর্ণিত আছে, সেগুলো নিতান্তই ভিত্তিহীন।
প্রশ্ন : আলেম বা হুজুর বিনে নিজে তাওবা করা যায় কী?
উত্তর : যায়। তওবা অর্থ গোনাহ থেকে ফিরে আসা। ইস্তেগফার অর্থ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া। এ কাজ করতে কোনো আলেম বা হুজুরের উপস্থিতি জরুরি নয়। যে কোনো সময়, যে কোনো অবস্থায় নিজেই করা যায়। সমাজে একটি কথা চালু আছে, হুজুর ডেকে তওবা করা বা হুজুর আমাকে তওবা পড়ান। এ ধারণাটি ভুল। এটি মূলত ‘আমি তওবা করতে চাই’ হুজুর বা আলেম আমাকে পরামর্শ দিন। এ পরামর্শ বা জ্ঞান লাভ করার জন্য হুজুর বা আলেমের প্রয়োজন। অন্য কোনো ভাবেও তা হতে পারে। তবে তওবার জন্য কোনো হুজুর বা আলেমের প্রয়োজন আগেও ছিল না, এখনো নেই। এমনকি মৃত্যুশয্যায় শায়িত ব্যক্তির তওবার ক্ষেত্রেও আলেম বা হুজুরের কোনো প্রয়োজন নেই। এটি একটি রেওয়াজ। যেমনÑ ফাঁসির আসামিকে শেষ তওবা পড়ানোর জন্য জেলখানার কোনো ইমাম সাহেবকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এটিও পরামর্শ মাত্র। তওবা কেউ করায় না, এটা নিজেই করতে হয়। এর জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময় ঠিক করাও ভুল। দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই একজন মুসলমান গোনাহ থেকে ফিরে আসা (তওবা) ও কৃত গোনাহের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা (ইস্তেগফার), কাজ দু’টো অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে পারে। এখানে আনুষ্ঠানিকতার কোনো স্থান নেই। এটি আল্লাহ ও বান্দার মধ্যকার একটি স্থায়ী সম্পর্কের শিরোনাম মাত্র।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন