বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২২, ১২:০৬ এএম

প্রশ্ন : আমার বাড়ির পাশেই মসজিদ। আমি যদি খোতবা ঘরে বসে শুনি এবং নামাজের ঠিক আগ মুহূর্তে গিয়ে কাতারে দাঁড়াই তাহলে কি গুনাহ হবে?
উত্তর : জুমার নামাজ খুতবা শোনাসহ ওয়াজিব। আপনি আরবী খুতবা শুরুর আগেই মসজিদে চলে যান। মূল নামাজ দুইরাকাত জামাতে পড়ে আবার ফিরে আসুন। এর কম হলে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে। যদিও আজানের পর মসজিদে চলে যাওয়া জুমার দিনের হুকুম। তথাপি আপনি যেহেতু মসজিদ সংলগ্ন বাসায় থাকেন, আপনার জন্য আরবী খুতবার আগে আগে গেলেও চলবে। খুতবা ও নামাজ একই সাথে গাঁথা। দু’টিকে আলাদা করবেন না। আগে পরের অন্য নামাজ বাসায় পড়লে কোনো ক্ষতি নেই বরং এটিই সুন্নত।
উত্তর : এমন রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করা মানে কি? যদি বন্ধুত্ব চালিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে এর ধরণ ও পরিণতি কি হবে তা বিবেচনা করেই মাসআলার সমাধন দিতে হবে। বেগানা পুরুষের সাথে বাস্তব জীবনে কীভাবে চলতে হয়, তা-কি আপনার জানা নেই? খুব প্রয়োজনে কথা বলতে হলেও আকর্ষনহীন, অনমনীয় কঠোরতার আচরণ বা বাক্য প্রয়োগের কথা কোরআন শরীফেই বলা হয়েছে। কারণ হিসাবে আল্লাহ বলেছেন, এতে যেসব পুরুষের নারী লোভ অধিক তাদের থেকে দূরে থাকা সহজ হয়। আর শরীয়তে খারাপ চিন্তা যেমন গুনাহ, এ চিন্তাকে যে প্রশ্রয় দেয়, এর কারণ হয়, এ পথে প্ররোচিত করে, সেও সমান গুনাহের ভাগী হয়। অতএব, একাকী দু’জন নারী পুরুষ একত্রিত হওয়া ইসলামে নিষিদ্ধ। কারণ হাদীস শরীফে বলা হয়েছে, যখন এমন হয় তখন সেখানে তৃতীয় ব্যক্তিটি থাকে শয়তান। যে উভয়কে একসময় ভুল পথে পরিচালিত করার ইন্ধন যোগায়। এখন আপনিই বুঝে নিন, আপনার প্রশ্নের উত্তর কি হওয়া উচিত। এমন রিকোয়েস্ট গ্রহণ করলে ক্ষতি হবে কি না, তা সম্পূর্ণই আপনার ইচ্ছা ও রুচির ওপর নির্ভর করে। সতর্কতা বজায় রাখার স্বার্থে আমরা একে উৎসাহিত করতে পারি না।
প্রশ্ন : আমার স্বামী জুয়া খেলে, এখন সেই টাকা যদি আমি মসজিদে দান করে দিই, তাতে কী কোনো সোয়াব পাওয়া যাবে?
উত্তর : জুয়া খেলা হারাম। যদি এর প্রথম মূলধন হালালও হয়, পরবর্তী প্রবৃদ্ধির সবটুকুই হারাম। আপনি হারাম টাকা দান করছেন, এমন নিশ্চিত হলে অবশ্যই সওয়াবের আশা করা ঠিক হবে না। বরং হারাম টাকা দান করে সওয়াবের নিয়ত বা আশা করাও কবীরা গুনাহ। এতে ঈমান নষ্ট হওয়ারও সম্ভাবনা থেকে যায়। কারণ, আল্লাহর পক্ষ থেকে হারাম ও নিষিদ্ধ বস্তু তাকেই খুশি করার জন্য তার ঘরে দান করা ব্যক্তির ঈমান থাকে না। এটি আল্লাহর অবাধ্যতার পাশাপাশি তার সাথে চরম ঔদ্ধত্য প্রদর্শনের নামান্তর। এজন্য এটি কুফুরী গুনাহ। অতীতে না জেনে এমন করে থাকলে আল্লাহ মাফ করে দিবেন। তবে, এমন টাকা নিজে ব্যবহার না করে, সওয়াবের নিয়ত ছাড়াই অভাবী কাউকে দিয়ে দেওয়া উচিত। সওয়াব আশা করা যাবে না, কেবল হারাম টাকা থেকে নিজের জান বাঁচানোর কাজটি করা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন