প্রশ্ন : পৃথিবীতে কতজন নবী এসেছিলেন?
উত্তর : এক লাখ ২৪ হাজার। হাদিস শরিফে এ সংখ্যাটিই এসেছে।
প্রশ্ন : মোবাইলে ছবি তুলে রাখলে কি পাপ হবে? আমি ছবি তুলতে খুব পছন্দ করি। কিন্তু কোনো ছবি সামাজিক মাধ্যমে আপলোড দেই না। দয়া করে উত্তর দিবেন।
উত্তর : ইসলামের মৌলিক কনসেপশন হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টিকে নকল না করা। যে জন্য কোনো কোনো ফকীহর মতে যে কোনো চিত্রাঙ্কন নিষিদ্ধ। তবে, নিষ্প্রাণ বিষয় বা প্রকৃতির চিত্র জায়েজ বলেন অধিকাংশ ফকীহগণ। প্রসিদ্ধ মত এই যে, ইসলামে প্রাণীর ছবি হারাম। দলীল স্বরূপ বলা যায়, নবী করিম সা. বলেন, কিয়ামতের দিন সর্বাধিক আজাব দেওয়া হবে চিত্রকরদের। বলা হবে, প্রাণী এঁকেছিলে এখন এদের প্রাণ দাও। প্রাণ দেওয়া যেহেতু আল্লাহ ছাড়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়, অতএব চিত্রকরদের আজাব দেওয়া হবে। হাদীস শরীফে আরও এসেছে, সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না, যেখানে কুকুর এবং জীবের ছবি থাকে। এখানে শিকারের জন্য প্রশিক্ষিত কুকুর এ নিয়মের বাইরে। কেবল রোগ ছড়ানো ক্ষতিকর কুকুরই উদ্দেশ্য। এতে বোঝা যায়, সাধারণভাবেই ছবি হারাম। শরীয়তে ছবি বলতে কী বোঝায়, এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষণ রয়েছে। শরীয়ত সমর্থিত ‘প্রয়োজন’ অনেক নিষিদ্ধ বিষয়কেও জায়েজ পর্যায়ে নিয়ে আসে। এসব খুবই গবেষণামূলক বিষয়। খুব বেশি জানাশোনা আলেম ও মুফতি ছাড়া সহজে এত গভীরে কেউ প্রবেশ করতে পারে না। অতএব, স্পষ্ট বিধানের ওপর আমল করাই আমাদের জন্য উত্তম। আল্লাহ ও তার রাসূল সা. এর হুকুম যতবেশি কড়াকড়িভাবে অনুসরণ করা যায়, ততই তাকওয়ার জন্য অধিক সহায়ক। আপনি মোবাইলে ছবি (অবৈধ ও অশ্লিল কিংবা যাকে দেখা নাজায়েজ তেমন মানুষের ছবি ছাড়া) তুলে রাখলে, কাগজে প্রিন্ট না দিলে, আপলোডও না করলে আপনার সাধারণ ছবি তোলার সমান গুনাহ নাও হতে পারে। তবে, এটাও যদি বর্জন করা যায় তাহলে খুবই ভালো।
প্রশ্ন : আমি আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণে প্রায় চার বছর আগে ডিভোর্স দেই। কিন্তু আমার স্ত্রী বা তার পক্ষের কেউই ব্যাপারটা এখনো জানেন না। এখন আমি ঢাকায় থাকি আর আমার স্ত্রী চট্টগ্রাম থাকে। সে সবসময়ই আমাকে প্রশ্ন করে, কবে তাকে আমার কাছে নিয়ে আসব। আমারও ইচ্ছা তাকে নিয়ে আসার। আমার প্রশ্ন হচ্ছেÑ ইসলামিক বিধান অনুযায়ী আমাদের ডিভোর্স কি কার্যকর হয়েছে, যদি হয়ে থাকে তাহলে তাকে ফিরিয়ে আনার ইসলামিক বিধান কী?
উত্তর : স্ত্রীকে তালাক দেয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টি তার জানা জরুরি নয়। আপনি যদি দিয়ে থাকেন, তা হলে এক তালাক বা অধিক তালাক যাই দিয়ে থাকেন সময়ের ভেতর পুনরায় মিলিত না হওয়ায় আপনাদের তালাক কার্যকর হয়ে গেছে। এখন বড় ফকিহ বা বিজ্ঞ মুফতি যেভাবে পরামর্শ দেন, সেভাবে শরিয়তের শর্ত পূরণ করেই আপনারা পুনরায় বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন। আপনি চার বছর আগে কিভাবে তালাক দিয়েছিলেন, মনে মনে, মুখে না কাগজে? চার বছর স্ত্রীকে না জানিয়ে দূরে রইলেন কোন যুক্তি দেখিয়ে? সরল স্ত্রী কবে আসবেন, কবে তাকে নেবেন, এ জিজ্ঞাসা চার বছর ধরে করে চলল, তখন আপনার জবাব কী ছিল? আপনার গোটা বিষয়টিই বুঝতে যে কারো কষ্ট হবে। নিজে একজন বিজ্ঞ মুফতির কাছে হাজির হয়ে সময় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করে মাসয়ালা জেনে নিন। এক কথায় আপনার উত্তর দেয়া সমীচীন নয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন