প্রশ্ন : ইসলামে মোহরানার কোন বিধানকে বেশি গুরুত্ব দেয়। যেটা ইমাম সাহেব বিয়ে পড়ানোর সময় বলে ওটা বাকি যেটা কাজি সাহেব রেজিস্ট্রি করানোর সময় লিপিবদ্ধ করে ওটা। ইমাম সাহেব যদি দুই-তিন লাখ টাকা মোহারানায় বিয়ে পড়ান এবং মেয়ের অভিভাবক রাজি থাকেন। এখন কাজি সাহেব মোহরানা লেখার সময় যদি ১২-১৫ লাখ লিখেন এবং উভয় পক্ষ যদি এটাকে মেয়ের ভবিষ্যত নিরাপত্তার জন্য গণ্য করেন। এটা কি সহিহ হবে?
উত্তর : আপনি প্রশ্নে যে দু’টি মোহরানার কথা উল্লেখ করেছেন, এমন বিধান ইসলামে নেই। ইসলামে মোহরানা একটিই। যা নির্ধারিত হবে, তাই দিতে হবে। নগদ বা বাকি হতে পারে। তবে, না দেয়ার কোনো নিয়ম নেই। না দেয়ার নিয়ত করে বিয়ে করলে বিয়েই শুদ্ধ হবে না। আপনি বলেছেন, ইমাম সাহেব বিয়ে পড়ানোর সময় যেটি বলে থাকেন, সেটি ঠিক, না কাজি সাহেব খাতায় যা লিখে থাকেন? মোহরানা আসলে ইমাম সাহেব বা কাজি সাহেব ঠিক করেন না। এটা করেন বর ও কনে পক্ষের দায়িত্বশীলরা। সুতরাং এখানে আপনি ও আপনার স্ত্রী যে পরিমাণ মোহরানা নির্ধারণ করবেন সেটিই ঠিক। কন্যার নিরাপত্তার জন্য ১০-১৫-২০ লাখ লিখে দেয়ার যে রীতি চালু আছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অনিয়ম। বেশি বা কম যতই নির্ধারণ করা হোক, ততই পরিশোধ করতে হবে। স্ত্রীর সম্মান, নিরাপত্তা বা অন্য যে নামেই ডাকা হোক, পরিমাণ যত হালকা বা ভারী হোক মোহরানা মোহরানাই। এ নিয়ে তামাশা করা, দু’রকম লেখা, মনে একটা মুখে একটা বলা, ইমেজ বৃদ্ধির জন্য বড় অঙ্ক লেখা, নগদ কম দিয়ে সব বাকি ফেলে রাখা ও ভবিষ্যতে দিতে টালবাহানা করা ইত্যাদি সবই গুনাহের কাজ। বিয়েতে মোহরানা সততার সহিত নির্ধারণ ও পরিশোধ জীবনের রহমত-বরকতের বড় কারণ। সততার চেয়ে বড় নিরাপত্তা আর হয় না। মোটা অঙ্ক লিখলেই স্ত্রীর নিরাপত্তা হবে, এ ভুল ধারণা থেকেই এমন বিভ্রান্তির জন্ম।
প্রশ্ন : আমি একবার এক ঘুমন্ত নারীর ওপর চেপে বসেছিলাম। আমার কী করতে হবে, আমি কি মাফ পাবো?
উত্তর : কু-প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে আপনি যা করেছেন, এজন্য আন্তরিকভাবে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। তওবা করে এ ধরনের কাজ বা আচরণ থেকে বাকি জীবন দূরে থাকতে হবে। এ পাপের কালিমা দূর করার জন্য কিছু কিছু নফল আমল, নামাজ, তওবা, দান-খয়রাত করতে থাকবেন। আশা করা যায় আল্লাহ মাফ করে দেবেন।
প্রশ্ন : ফিতরার টাকা দিয়ে কি ইছালে সওয়াব জলসায় শরিক হওয়া যাবে? একব্যক্তি নিজের টাকায় বাজারে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন, মসজিদের দেয়ালে তার নাম খোদাই করে দেয়া হয়েছে। এ মসজিদে কি নামাজ পড়া যাবে?
উত্তর : ফিতরার টাকা একান্তভাবেই ফকির, মিসকিন ও এতিমদের হক। সরাসরি ফকরি মিসকিনের হাতে অথবা তাদের পক্ষ হতে গ্রহণকারী কোনো বিশ্বাসী কর্তৃপক্ষকেই তা দিতে। ইছালে সওয়াবের জলসায় দেয়া যাবে না। মসজিদের দাতা বা নির্মাতার নাম কোনো মসজিদে লেখা থাকলে এ মসজিদে নামাজ পড়তে কোনো অসুবিধা নেই। অন্য মসজিদের মতোই এখানে নামাজ, তিলাওয়াত, জিকির, তালিম ইত্যাদি সব ইবাদতই করা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন