মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে মিলবে নাগরিকত্ব

| প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই থাইল্যান্ডের বিনিয়োগকারীরা এ দেশে যেকোনো খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। এজন্য প্রয়োজনে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। এছাড়া, বাংলাদেশে এক মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে যদি মূলধন ফেরত নেয়া না হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ সম্ভাবনা সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় বিনিয়োগের এ আহবান জানানো হয়। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ মন্ত্রী কবসাবপুত্র কুলসহ থাইল্যান্ডের উচ্চ পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতারা। বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাশেম খান ও বাণিজ্য সচিব সুভাশীষ বসু।
বিডার চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত স্থান। কৃষি, ম্যানুফ্যাকচারিং ও সেবা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এ দেশের মানুষ খুবই কর্মঠ ও অতিথিপরায়ণ। বাংলাদেশে বর্তমানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট চলছে। এটি একটি বড় সুযোগ। ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় এখানে বিনিয়োগ সম্ভাবনাও বেশি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় বর্তমানে ইতাল থাই কোম্পানি অবকাঠামো খাতের অনেক বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বাড়াতে আরও বেশি যোগাযোগ বাড়ানো প্রয়োজন।
বাণিজ্য সচিব সুভাশীষ বসু বলেন, যদি এক মিলিয়ন ডলারের বেশি মূলধন বিনিয়োগ করে কেউ তা ফিরিয়ে না নেয়, তাহলে বিনিয়োগকারীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আমরা কিছু বিশেষ সুযোগ দিতে পারি থাইল্যান্ডকে। জয়েন্ট ভেনচারের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের চিকিৎসা সেবা বাংলাদেশে আসতে পারে।
এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, দু’দেশের মধ্যে অংশীদারিত্বমূলক ব্যবসা বাণিজ্য এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ অমৃত সম্ভাবনার দেশ। আমাদের গত বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাত শতাংশের বেশি। দেশ গ্যাস, এনার্জি, অবকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগের অনেক সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে রপ্তানি করেছে ৪৮ মিলিয়ন ডলার; আর থাইল্যান্ড করছে এক দশমিক ৮০ মিলিয়ন ডলার।
থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ মন্ত্রী কবসাবপুত্র কুল বলেন, বাংলাদেশ জনবহুল দেশ। শ্রমিক প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে এ দেশে বিনিয়োগ সম্ভব। দু’দেশের ব্যবসাসহ অন্যান্য বিষয়ের স্বার্থে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশকে কাছাকাছি থাকতে হবে। বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও মায়ানমারের পণ্য পরিবহনে যে যোগাযোগ গড়ে উঠেছে, থাইল্যান্ডও এর সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন