শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

এক দশকে দশম কোচ জেমি

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশের ফুটবলে বিদেশী কোচ নিয়োগ এখন যেন অনেকটা ছেলে-খেলার মতোই। একজন যাচ্ছেন তো আরেক জন আসছেন। ভালো মানের ক’জন স্থানীয় কোচ দেশে থাকার পরও তাদের উপর ভরসা না করে জাতীয় দলের জন্য একের পর এক বিদেশী কোচ নিয়োগ দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বিদেশী কোচ হিসেবে জাতীয় দলে সর্বশেষ সংযুক্ত হলেন ৩৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ জেমি ডে। গেল এক দশকে বাফুফের নিয়োগকৃত দশম এবং বাংলাদেশ ফুটবলের ২১তম বিদেশী কোচ তিনি।
দশ বছর আগে ২০০৮ সালের জানুয়ারীতে জাতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ব্রাজেলিয়ান এডসন সিলভা ডিডো। কোন জাতীয় দলে হেড কোচ হিসেবে এটাই ছিলো তার প্রথম চাকুরী। দলে বিশৃঙ্খলার দোহাই দিয়ে এক ঝাঁক তারকাকে ফুটবলারকে ছাটাই করে বেশ আলোচিত হয়েছিলেন ডিডো। যে কারণে চাকুরী হারাতে হয় তাকে। তার চলে যাওয়ায় ২০১০ সালে জানুয়ারীতে নিয়োগ পান সার্বিয়ান জোরান দর্দেভিচ। তিনি কাজ করেন মাত্র একমাস। তার অধীনে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে ফুটবলে দ্বিতীয়বারের মতো সোনা জেতে লাল-সবুজরা। কিন্তু সাফল্য এনে দিয়ে তিনি চুক্তির তোয়াক্কা না করে বেতন বাড়ানোর দাবী তোলেন। বাধ্য হয়েই তাকে বিদায় করে দেয় বাফুফে। মাঝে প্রায় ছয় মাস বিদেশী কোচ বিহীন ছিলো জাতীয় দল। এসময়ে স্থানীয় কোচ সাইফুল বারী টিটুর অধিনে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। ওই আসরে জাতীয় দলের বাজে পারফরমেন্সের কারণে ২০১০ সালের সেপ্টম্বরে ফের বিদেশি কোচ হিসেবে ক্রোয়েশিয়ান রবার্ট রুবচিচকে নিয়োগ দেয় দেশের ফুটবরলের অভিভাবক সংস্থাটি। কিন্তু কাজ বিহীন আট মাস ঢাকায় কাটিয়ে ২০১১ সালের জুনে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন এই কোচ। তার চলে যাওয়ায় মেসিডোনিয়ান এক কোচের আসার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। তার যায়গায় তারই স্বদেশী নিকোলা ইলিয়েভস্কিকে নিয়োগ দেয় বাফুফে। এই কোচের অধীনে ২০১১ সালের দিল্লী সাফে গ্রæপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। তিনি এক বছরের পুরো চুক্তি শেষ করতে পারেননি। পরে ডাচ কোচ লোডভিক ডি ক্রুইফকে নিয়োগ দেয় বাফুফে। ২০১৩ সালে প্রথম দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দফায় এক বছর কাজ করেন এই ডাচ। এরপর ২০১৬ সাল পর্যন্ত আসা যাওয়া করেন। তার অধীনে ২০১৩ সালের কাঠমান্ডু সাফে গ্রæপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। ক্রুইফ পর্ব শেষ হলে দৃশ্যপটে আসেন ইতালিয়ান কোচ ফ্যাবিও লোপেজ। তাকে নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। মাত্র দু’মাস কাজ করার পর বহিষ্কার হয়েই বাংলাদেশ ছাড়তে হয়েছে এই ইতালিয়ানকে। এরপর কোনো প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়াই স্পেনের গঞ্জালো সানচেজ মরিনোকে নিয়োগ দেয় বাফুফে। একটি ম্যাচে জাতীয় দলের দায়িত্ব পালন করেন গঞ্জালো মরিনো। তার আগে বাংলাদেশ অলিম্পিক দল ও অনূর্ধ্ব-২৩ দল নিয়ে কাজ করেছেন। গত দশ বছরে বেলজিয়ামের টম সেন্টফিটই ছিলেন একমাত্র অভিজ্ঞ কোচ। বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেয়ার আগে বেশ কয়েকটি জাতীয় দলে কোচিং করানো অভিজ্ঞতা ছিলো তার। কিন্তু তিনিও সুবিধা করতে পারেননি। তার অধীনে ভুটান হারের লজ্জা পায় বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্লে-অফে ভুটানের বিপক্ষে ভরাডুবির পর বরখাস্ত হন জাতীয় দলের বেলজিয়ান কোচ টম সেন্টফিট। এরপর বেশ ক’মাস জাতীয় দলের হেড কোচের পদটা ফাঁকা ছিল। পরে গত দশ বছরে নবম বিদেশী কোচ হিসেবে ইংলিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু অর্ডকে দায়িত্ব দেয়া হয়। জাতীয় দলের কার্যক্রম স্থবির থাকায় তিনি বসে ছিলেন অনেকদিন। তার অধীনে লাউসের বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। ২-২ গোলে ড্র হয় সেই ম্যাচ। বাংলাদেশে কাজ করেই থাইল্যান্ডের একটি ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি করেন। ঢাকা ছেড়ে চলে যান ব্যাংককে। এবার এসেছেন একেবারে তরুন এক কোচ জেমি ডে। যার প্রোফাইল বলে তরুণ হলেও অভিজ্ঞ তিনি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন