এক সময় ফুটবলের যে কোন বড় পুরস্কার মানেই ছিল লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর অলিখিত লড়াই। এক বছর একজনের হাতে মুকুট উঠলে পরের বছর জিততেন অন্যজন। তবে সেই চিত্রে বদল এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে রোনালদোর কিছুটা ছন্দপতন হলেও মেসি এখনো বড় মঞ্চে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত।
গতকাল জাতীয় দলকে বিশ্বকাপ জেতানো এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা ফিফার ‘দ্য বেস্ট’ সম্মান পেয়েছেন। এই তালিকায় তার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপে, লুকা মদ্রিচ,করিম বেনজেমারা। সংক্ষিপ্ত তালিকায় না থাকলেও সেরা খেলোয়াড় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল রোনালদোর। তবে জানা গেল এবার রোনালদো ভোটই দেননি।
ফুটবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ফিফা কর্তৃক প্রদত্ত এই পুরস্কারের বিজয়ী নির্ধারণে জাতীয় দলের অধিনায়কেরা ভোট দিয়ে থাকেন জাতীয় দলের কোচদেরও রয়েছে ভোট দেয়ার অধিকার। সেই দিক থেকে বিচার করলে রোনাদোরও ভোট দেয়ার অধিকার ছিল। কিন্তু ফিফা জানিয়ে দেয়, রোনালদো এবার ভোটই দেননি। তিনি তার ভোট প্রদানের অধিকার প্রয়োগ করেননি। রোনালদো ভোট না দেয়ায় পর্তুগাল জাতীয় দলের বর্ষীয়ান ফুটবলার পেপে ভোট দিয়েছেন। পেপের ভোট পড়েছে কিলিয়ান এমবাপের বক্সে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভোট পেপে দিয়েছেন লুকা মডরিচ ও করিম বেঞ্জেমাকে। মেসিকে তিনি ভোট দেননি।
ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের জন্য জাতীয় দলের কোচরাও ভোট দিয়ে থাকেন। কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর কাছে হারের পরে পর্তুগালের কোচ স্যান্টোসের চাকরি চলে যায়। তার জায়গায় নতুন কোচ হয়ে আসেন রবের্তো মার্টিনেজ।
চাকরি যাওয়ায় স্যান্টোসের পক্ষে আর ভোট দেয়া সম্ভব হয়নি। নতুন কোচ মার্টিনেজ অবশ্য প্রথম ভোটটি দেন মেসিকেই। পরের ভোটগুলো মার্টিনেজ দেন কেভিন ডি ব্রুইন ও এমবাপেকে।
উল্লেখ্য, এবার বর্ষসেরা হওয়ার তালিকায় ছিল না রোনালদোর নাম। তালিকায় তিনি না থাকায়, তাকে ভোট দেয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। আর তিনিও ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন