কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কলেজ পড়–য়া যুবককে ফাঁসিয়েছে এক নারী। পরকীয়া প্রেমিক সেন্টুর প্ররোচনায় মিথ্যা চাকরির পরিচয়ে বিলকিস আক্তার নামে ওই নারী প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করে অনার্স পড়া ফিরোজ আল মামুন নামে এক যুবককে। পরে তা জানাজানি হলে প্রতারিত যুবক ফিরোজ আল মামুন বিলকিস আক্তারকে ডিভোর্স দেয়। এ ঘটনায় বিলকিস আক্তার তার পরকীয়া প্রেমিক ব্যবসায়ী সেন্টুর প্ররোচনায় ফিরোজ আল মামুনের নামে যৌতুকের দাবিতে মিথ্যা মামলা করেছে।
জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী মিরপুর উপজেলার আমলা সদরপুরের আফসার আলীর মেয়ে বিলকিস আক্তার নিজেকে কাতলামারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পরিচয় দিয়ে দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর ইউপি’র ভেড়ামারা গ্রামের কলেজ পড়–য়া যুবক ফিরোজ আল মামুনের সাথে বিয়ে করে। আর এ বিয়ের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে আড়িয়া ইউপি’র বড়গাংদিয়া গ্রামের সেন্টু নামে এক ব্যবসায়ী। ওই নারীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রতরণার ফাঁদে ফেলে সহজ সরল কলেজ পড়–য়া যুবক ফিরোজ আল মামুনের সাথে বিয়ে দেয় সেন্টু। গত বছরের ৪ এপ্রিল বিলকিস আক্তার ও ফিরোজ আল মামুনের সাথে বিয়ে হওয়ার পর ফিরোজ আল মামুন জানতে পারে বিলকিস আক্তার কোন স্কুলের শিক্ষিকা নন এবং তার সাথে ব্যবসায়ী সেন্টুর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। বিলকিস আক্তার ও সেন্টুর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি এবং তাদের ঘনিষ্টভাবে মেলামেশা দেখে ফিরোজ আল মামুন বিয়ের এক সপ্তাহ পর বিলকিস আক্তারকে ডিভোর্স দেয়। ডিভোর্সের ৪ মাস পর সেন্টুর প্ররোচনায় বিলকিস আক্তার ফিরোজ আল মামুনের নামে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে আদালতে মামলা করে। অসহায় সহজ সরল যুবক ফিরোজ আল মামুন আদালত থেকে জামিনে এসে মিথ্যা মামলার ফাঁদ থেকে মুক্তি পেতে অনেকের দ্বারে গিয়েও কোন সুফল পাননি। উল্টো ফিরোজ আল মামুনকে সেন্টু বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে এনিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতারিত যুবক ফিরোজ আল মামুন স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে তার অসহায়ত্বের কথা জানায় এবং বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য গনমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সেই সাথে প্রতারক সেন্টু ও তার প্রেমিকা বিলকিস আক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন