ভোলার জেলার একমাত্র প্রধান সড়কই হচ্ছে ভোলা টু চরফ্যাশন দক্ষিন আইচা। ভোলা জেলার সাথে চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোর, বরিশাল, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের সাথে যোগাযোগের, মালামাল পরিবহনের একমাত্র রাস্তাই হচ্ছে এই সড়ক। এ ছাড়া চলাচলের কোন বিকল্প রাস্তা নেই। তাই বাধ্য হয়েই এ রাস্তায় দৈনিক হাজার হাজার গাড়ি ও জনগন চলাচল করতে হয়। তারই মাঝে লালমোহন থেকে ডাওরি বাজার পর্যন্ত ৬ কি.মি. রাস্তা এখন মরনফাঁদ। আর লালমোহন থেকে ডাওরি বাজার সড়কটিতে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। বন্ধ হয়ে যেতে পারে যোগাযোগ যে কোন সময়।
গতকাল একদিনে তিনটি গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। আহত হয়েছে অনেকে। এ যেন ভোলা বাসীর জন্য মরন ফাঁদ। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির বেহাল অবস্থা কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেননা। প্রতিদিন গড়ে হাজারের উপরে যাত্রিবাহী এবং মালবাহী যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্তগুলো পুকুরের আকার ধারন করে চলাচল করাই যাচ্ছে না। লালমোহন হাসপাতালের সামনে বিরাট পুকুরের আকার ধারন করে গর্ত সৃস্টি হয়ে গিয়েছে। এ কারনে প্রতিদিন গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটছে। এব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন না করলে ভোলা টু দক্ষিন আইচা যানবাহন চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়বে। বন্ধ হয়ে যেতে পারে যোগাযোগ ব্যাবস্থা। সাধারণ মানুষের অভিযোগ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে এবং পূর্বে নিম্ন মানের কাজের কারনে লালমোহন টু ডাওরির প্রাদান সড়কের এই বেহাল অবস্থা। বাস কর্তৃপক্ষ বলছে রাস্তার এ অবস্থা থাকলে বাস চলাচল করাও যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রাস্তার এ অবস্থায় ককারনে জনমনে দিন দিন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে।
জানা যায় ৬ কিঃমিঃ রাস্তার কাজটি ব্রিজসহ ৩৩ কোটি টাকার টেন্ডার হয়ে গিয়েছে কয়েক মাস পূর্বে। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলেন কি কারনে কাজটি হচ্ছে না সেটা একমাত্র আল্লাহ ও কতৃপক্ষই জানে। রাস্তার দুই পার্শ্বের অনেক বছরের পুরানো প্রায় ১২০০ গাছ আরবান কালচার থেকে টেন্ডার দেয়া হয়েছে পানির দামেই মনে করছে স্থানীয় মানুষ। কিছু কিছু গাছ কেটে রাস্তার দুই পাশে ফেলে রেখেছে ইচ্ছে মত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কাজ সংশ্লিষ্ট এক ব্যাক্তি থেকে জানা যায় সড়ক কর্তৃপক্ষ চেয়ে ছিল কাজটি ও গাছগুলো কয়েকটি গ্রুপে দিয়ে কাজটি দ্রæত শেষ করতে।যাতে জনগনের ভোগান্তি না হয়।কিন্তু কোন বিশেষ কারনে তা পারেনি কর্তৃপক্ষ। কাজটির ব্যাপরে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি বলেন রাস্তাটি অবস্থা খুবই খারাপ।তাই তিনি জেলা মাসিক সমন্বয় সভায় জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকি মহোদয়ের মাধ্যমে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাকে জানানো হলে নির্বাহী প্রকৌশলী কাজ দ্রুত করে দিবেন বলে জানান।
এ ব্যাপরে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী না থাকায় উক্ত কাজের সংশ্লিষ্ট এসডি নাজমুল ইসলাম বলেন কাজটি টেন্ডার হয়েছে জয়েন বেঞ্চারে (মাইনদ্দিন বাসি, নবারুন ট্টেডার্স ও মুজহারুল ইসলাম) যৌথভাবে কাজটি পায়। তবে ঈদ উপলক্ষে ঠিকাদার ক্রাস্ট রিপিয়ারিং করে দিবে তারপরে কাজটি পুনঃনির্মাণ করা হবে। গাছের ব্যাপারে তিনি বলেন ঢাকা আরবান কালচার থেকে গাছগুলো টেন্ডার দেয়া হয়েছে এ ব্যাপারে তারাই বলতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন