রমজান কোরআন নাজিলের মাস। মানব সভ্যতার সকল সমস্যার সমাধান একমাত্র কোরআনেই রয়েছে। নবী সা. এর জীবন ও শিক্ষা কোরআনেরই বাস্তব রূপায়ন। অতএব, কোরআন সুন্নাহ ছাড়া মানবতার মুক্তি নেই। রমজানের রোজা মানুষকে খাঁটি মানুষে পরিণত করে। গত শুক্রবার রাজধানীর মতিঝিলে অনুষ্ঠিত ‘মিল্লি খানাকাহ’ এর ইফতার ও দোয়া মাহফিলে প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় আল্লামা উবায়দুর রহমান খান নদভী এসব কথা বলেন। তিনি প্রতিটি মানুষের দীনি শিক্ষা, ঈমান একিন ও তাকওয়া অর্জনে পীর মাশায়েখের নার্সিং এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, নবী সা. এর সোহবত সাহাবায়ে কেরামকে অনন্য করেছে। তারা তাযকিয়ার মাধ্যমে জগতের সর্বকালের শ্রেষ্ট মানুষে পরিণত হয়েছেন। পীর মাশায়েখগণ যুগে যুগে এই কাজটিই চালু রেখেছেন। আল্লামা নদভী আল্লাহর প্রতি শোকরিয়া জ্ঞাপন করে বলেন, ইয়ামেন, রিয়াদ, তুরস্ক, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট বুযুর্গগণের ইজাজতের পর গত ১১ মে মালয়েশিয়ায় বর্তমান যুগের প্রখ্যাত শায়েখ পীর ফকির যুলফিকার আহমাদ নকশবন্দী মোজাদ্দেদী কর্তৃক ইজাজত ও খেলাফত পাওয়ায় আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। এর আগে শায়েখে যাত্রাবাড়ি ও বর্তমানে শায়েখ নকশবন্দী সিলসিলা বিস্তারে আমাকে নির্দেশ দেওয়ায় ‘মিল্লি খানাকাহ’ এর কাজ পুরোদমে শুরু হবে। চার তরিকার সমন্বয়ে দীনি কাজ ইখলাসের সাথে করা আমাদের কর্তব্য। উপস্থিত মেহমানদের বাইয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। ইফতার ও মোনাজাত শেষে প্রতি ইংরেজী মাসের ১ম শুক্রবার মতিঝিল টিকাটুলিতে ইসলাহী মজলিসের সিদ্ধান্ত হয়।
ইসলামী ঐক্যজোট
ইসলামী ঐক্যজোটের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ও ইসলামী রাজনীতির পুনর্প্রবতন করেন। তিনি বিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করেন। আঞ্চলিক সম্পর্ককে সুসংহত করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশসমূহকে নিয়ে সার্ক গঠন করেন। মুসলমানদের শত্রæ বার্মীজরা জিয়ার সময়ে মুসলিম বিতাড়নে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়। জিয়ার উত্তরসূরী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে আদর্শচ্যূত করতে ব্যর্থ হয়ে তাঁদেরকে রাজনীতির ময়দান হতে সরাবার উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করা হচ্ছে। পবিত্র বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ এমতাবস্থায় দেশ জাতির কল্যাণে প্রভাবমুক্ত বিচার বিভাগ, গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন এবং ২০ দলীয় জোট ও বিএনপি নেত্রী, ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ সব নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে সকল গণতান্ত্রিক ও ইসলামী দলসমূহ এবং ওলামাকেরামসহ সকলকে সোচ্চার হবার আহ্বান জানিয়েছেন। আল্লামা মুসলেহ্ উদ্দিন (রহঃ) মিলনায়তনে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রকীব এডভোকেট এর সভাপতিত্বে ও ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মাওলানা শওকত আমীন পীর সাহেব বি-বাড়ীয়ার সঞ্চালনায় অদ্য অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম খান, শায়খুল হাদীস আল্লামা আতাউর রহমান হবিগঞ্জী, মাওঃ সিহাব উদ্দিম কাসেমী, মাওঃ রিয়াদ আল হাসান, মাওঃ নাসির আল ফরিদী, মাওঃ মজিবুল হক, মাওঃ আনোয়ার হোসাইন আনসারী, মাওলানা নাজমুল হক, সৈয়দ মোঃ হাছ্ছান, ইসলামী ছাত্র সমাজের সভাপতি হাফেজ হাবিবুর রহমান ও মহাসচিব আরিফ মাহমুদ প্রমূখ।
আল-কুদ্স কমিটি বাংলাদেশ
আল-কুদ্স কমিটি বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ বলেছেন,গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের উপর গুলি বর্ষণ মুসলিম বিশ্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে যুদ্ধ ঘোষনার শামিল। তারা বলেন, ৫২ জন শহীদের বদলা নেয়ার জন্য মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ শপত নিতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম দেশগুলোতে আজ যে অশান্তি বিরাজ করছে তার মূলে আমেরিকা ও ইসরাঈল। তারা তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর অবিলম্বে প্রত্যাহার করার জন্য জাতি সংঘসহ সকল আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহবান জানান।
আজ মঙ্গলবার বিকালে আল-কুদ্স কমিটি বাংলাদেশের জরুরী বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন, সংগঠনের সভাপতি ও ঢাবি শিক্ষক প্রফেসর কাওসার মোস্তফা আবুল ওলায়ীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোস্তফা তারেকুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আবদুল মুনিম খান,এসএম সাখাওয়াত হুসাইন, মওলানা মুহিব্বুল্লাহ ভূইয়া, মওলানা আবুবকর সিদ্দিক প্রমূখ।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন