ঢাকা থেকে চাঁদপুরে নৌ-পথে যাতায়াত আরামদায়ক হওয়ায় অধিকাংশ মানুষ চলাচল করেন লঞ্চে। তাইতো পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাড়ির টানে ঘরমুখো মানুষের ¯্রােত এখন নৌ-পথে। লঞ্চগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় একদিকে যাত্রী দুর্ভোগ, অন্যদিকে নিরাপত্তা ঝুঁকিও বাড়ছে। এ কারনে যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা।
৭শ’ থেকে ৮শ’ যাত্রী বহনকারী লঞ্চগুলো এখন ঢাকা থেকে যাত্রী বহনস করছে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ১৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ ঢাকা সদরঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাটে আসছে। ২ হাজারের কম যাত্রী ছিলো খুব কম লঞ্চেই।
এমভি ইমাম হাসান-৫ সকাল ৬টায় ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর আসে। এই লঞ্চে যাত্রীছিলো প্রায় ৩ হাজার। এরপর সকাল ১০টা থেকে প্রতি আধাঘন্টা আবার কোন সময় ১ ঘন্টা পর এক বা একাধিক লঞ্চ ঢাকা থেকে চাঁদপুর ঘাটে আসতে থাকে। এমভি আল-ওয়ালিদ-২, এমভি গ্রীন লাইন-৭, বোগদাদিয়া-৭ সহ সব লঞ্চেই একই ধরনের যাত্রী দেখা গেছে।
অনেক লঞ্চে যাত্রীদের দাঁড়িয়ে থাকাও ছিলো খুবই কষ্টকর। অনেক লঞ্চের ছাদে করেও যাত্রী এসেছে। ছোট শিশু ও মহিলাদের এ ক্ষেত্রে বেশী কষ্ট পোহাতে দেখাগেছে।
এমভি বোগদাদিয়া-৭ লঞ্চের যাত্রী মো. ইমরান হোসেন জানান, সদরঘাটে লঞ্চগুলো এসে ভিড়লেই মূহুর্তের মধ্যে যাত্রী ভরপুর হয়ে যাচ্ছে। সিডিউল টাইম হওয়ার আগেই ঘাট ছাড়ছে লঞ্চগুলো। তিনি চাঁদপুর হয়ে লক্ষ্মীপুর যাবেন। সাথে নিয়ে আসছেন বাইক। তাই যাত্রীদের নামতে দেরি হওয়ার কারণে প্রায় আধাঘন্টা লঞ্চের সামনেই বসে আছেন।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন জানান, চাঁদপুর-ঢাকা নৌ-রুটে প্রায় ২৪টি লঞ্চ যাতায়াত করে। এছাড়াও অন্য লাইনের লঞ্চগুলো চাঁদপুর ঘাটে আসেন। সকাল থেকে যত লঞ্চ সদরঘাট থেকে আসছে, সবগুলো অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে আসছে। চাঁদপুর থেকে যে সব লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে সেগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী নেই।
বিআইডাব্লিউটিএ চাঁদপুর এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, চাঁদপুর ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। তবে যাত্রীদের সহজেই পন্টুন থেকে উপরে উঠার জন্য কয়েকদিন আগে একটি নতুন জেটি চালু করেছি। এতে করে পারাপার খুবই সহজ হচ্ছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ চলাচলের সুব্যবস্থা রয়েছে চাঁদপুর ঘাটে। অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যে সব লঞ্চ আসছে এ বিষয়ে আমাদের করার কিছু নাই। এ বিষয়গুলো দেখবেন সদরঘাটে কর্মরত কর্মকর্তাগণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন