সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বিষখালী নদীর তীব্র ভাঙন

ঝালকাঠি থেকে মু. আব্দুর রশীদ | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ঝালকাঠির বিষখালী নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি, সাইক্লোন সেন্টার, মসজিদ, বাজারসহ শতশত হেক্টর কৃষিজমি। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে আরো বেশকিছু স্থাপনা। আকস্মিক ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিষখালী নদীর ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও লঞ্চঘাট, বড়ইয়া ইউনিয়নের কাঁচারিবাড়ি বাজার, চল্লিশকাহনিয়া ও মানকিসুন্দর গ্রাম, নলছিটি উপজেলার হদুয়া দরবার শরিফ, দেউরি সাইক্লোন সেন্টার, ভবানীপুর লঞ্চঘাট ও বাজার, বৈশাখীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসা, চাঁনপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশকিছু স্থাপনা। এ ছাড়া কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া বন্দর রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে। গত এক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র ভাঙন অব্যাহত থাকলে যে কোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এসব স্থাপনা।
রাজাপুর বাঁদুরতলা এলাকার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বাড়িঘর আগেই নদীতে গেছে, গত এক সপ্তাহে বাঁদুরতলা লঞ্চঘাট এলাকায় বেশকিছু দোকান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের মুখে রয়েছে। এ ছাড়া বাদুরতলা বাজারটি গত পাঁচ বছরে একাধিকবার জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারটি আবারো ভেঙে যাচ্ছে।’
নলছিটির হদুয়া এলাকার বাসিন্দা কাসেম সিকদার বলেন, ‘জায়গাজমি বহু আগেই গেছে, গত বছর বাড়ি গেছে; এবার দোকানটাও গেল। এখন আমার আর কিছুই নাই, এই বিষখালী আমার সব খাইছে।’
নলছিটি ভবানীপুর গ্রামের স্কুলশিক্ষক আশ্রাফুর ইসলাম বলেন, ‘যে গতিতে নদী ভাঙছে, তাতে ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চাঁনপুরা প্রাথমিক বিদ্যালয় অচিরেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। সরকার যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয় তবে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা করা যাবে না।’
এ বিষয়ে রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সিকদার বলেন, ‘বিষখালী নদীর ভাঙনে দোকান, বসতবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে শতাধিক পরিবার। আমরা তাদের সাধ্যমতো সহায়তা করছি। তবে দ্রæত নদীভাঙন ঠেকাতে না পারলে আরো অনেক পরিবার সর্বস্ব হারাবে।’
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রোমান হাসান বলেন, ‘ইতোমধ্যেই ৩০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রকল্প ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া আমুয়া বন্দর ও রাজাপুরে নদীভাঙন রোধে একটি প্রকল্প তৈরির কাজ চলছে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Forkan Hossain ৩ জুলাই, ২০১৮, ১০:২৫ এএম says : 0
Thanks you the daily inqilab published this news portal
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন