বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

| প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৭ এএম

প্রশ্ন: জুমআ ওয়াজিব হওয়া এবং সহীহ হওয়ার মধ্যে পার্থক্য কি?
উ: পার্থক্য হলো এই-সহীহ হওয়ার শর্তগুলো পূরণ না হলে জুমআ আদায় হবে না। কিন্তু ওয়াজিবের শর্তগুলো না থাকা সত্তে¡ও জুমআ পড়ে ফেললে, আদায় হয়ে যাবে এবং যোহর নামায আর পড়তে হবে না। যেমন, কোন মুসাফির মসজিদে এসে জুমআ আদায় করে ফেললো, ওয়াজিব না থাকা সত্তে¡ও তার জুমআ আদায় হয়ে যাবে এবং ওই দিনের যোহর নামায তার আর পড়তে হবে না। অথচ কোন সুস্থলোক যদি সহীহ হওয়ার শর্তগুলোর কোন একটি বাদ দিয়ে জুমআ করে তবে তার জুমআ আদায় হবে না। তাকে ওই দিনের যোহর পড়তে হবে।
প্রশ্ন: বড় মসজিদ বলতে কি বুঝায়?
উ: প্রচলিত মাপে ২৫ (পঁচিশ) গজ আয়তন বিশিষ্ট মসজিদকে ফিকহের পরিভাষায় বড় মসজিদ বলা হয়।
প্রশ্ন: কোন জায়গায় এই মাপের মসজিদ নেই, কিন্তু মুসলমান জনসংখ্যা পর্যাপ্ত হারে রয়েছে। সেখানে কি জুমআ আদায় করা যাবে?
উ: নিঃসন্দেহে যাবে।
প্রশ্ন: জুমআর নামায কাযা পড়তে হয় কি?
উ: না জুমআ কাযা পড়তে হয় না। কোন কারণে সময়মত আদায় করতে না পারলে, কাযা হিসাবে যোহরের চার রাকাত পড়তে হবে।
প্রশ্ন: জুমআর খোতবাহ ওয়াক্ত শুরু হওয়ার আগে অথবা নামাযের পর পাঠ করলে জায়েয হবে কি?
উ: না জায়েয হবে না।
প্রশ্ন: সুন্নত বা নফল নামায পড়ার মধ্যে খোতবাহ শুরু হয়ে গেলে কী করতে হবে?
উ: সুন্নতে মুআক্কাদা হলে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি সমাপ্ত করতে হবে, আর নফল হলে প্রথম বৈঠকে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করা উচিত।
-মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন