প্রশ্ন: জুমআর সময় খোতবার পর ইমামের হদস হয়ে গেলে কী করবে?
উ: নামায শুরুর আগে যদি হদস হয় তাহলে খোতবাহ শুনেছে এমন কাউকে খলীফাহ বানিয়ে নামায পড়ানোর জন্যে রেখে যেতে হবে। আর নামাযের ভেতর হদস হলে ইমামতি করতে সক্ষম এমন যে কাউকে পেছন থেকে সামনে খলীফাহ বানাতে হবে। (আলমগীরী)
প্রশ্ন: খোতবা এবং নামাযের মধ্যে ইমাম যদি বাসায় যান, খানা খান অথবা এমন কোন কাজ করেন যা নামাযের সম্পর্কহীন তাহলে অসুবিধা আছে কি?
উ: আছে, এরকম অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব করলে পুনরায় খোতবা পাঠ করতে হবে।
প্রশ্ন: খোতবা চলাকালে কথা বলা কি জায়েয?
উ: না, খোতবা চলাকালে কথা বলা, নড়াচড়া করা, কোন কিছু খাওয়া এমন কি নামায পড়াও নিষিদ্ধ।
প্রশ্ন: জুমআর নামাযে কয়জন লোক থাকা শর্ত; যার কম হলে জামাআত হবে না?
উ: ইমাম ছাড়া অন্তত: তিনজন না হলে জামাআত হবে না।
প্রশ্ন: যার ওপর জুমআ ওয়জিব, সে যদি শহরে বাস করে এবং সুযোগ থাকা সত্তে¡ও জুমআর আগে যোহর আদায় করে তাহলে গোনাহগার হবে কি?
উ: অবশ্যই গোনাহ হবে।
প্রশ্ন: জুমআ ওয়াজিব নয় এমন লোক যোহর কখন কিভাবে পড়বে?
উ: শহরের জুমআ শেষ হওয়ার পর একা একা আদায় করবে। কোনো অবস্থাতেই জামাআত পড়তে পারবে না।
প্রশ্ন: গ্রামাঞ্চলে যেখানে জুমআ আদায় করা যায় না, সেখানে যোহর নামায জামাআতের সাথে আদায় করা যাবে কি?
উ: যাবে। -মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন