শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

জরাজীর্ণ ভবনে বৃষ্টিতে ভিজে ক্লাস আশাশুনির গোদাড়া দাখিল মাদরাসা

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) থেকে জি এম মুজিবুর রহমান | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের গোদাড়া আল-মাদানি দাখিল মাদরাসা নানাবিধ সমস্যা জর্জরিত অবস্থায় রয়েছে। টিনের ছাউনি ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ভিজতে ভিজতে ক্লাস বসে থাকে। ২৭ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাটির করুণ দশার ইতি ঘটবে কবে ? এমন প্রশ্ন এলাকাবাসীকে কুরে কুরে খাচ্ছে।
এলাকার শিক্ষানুরাগী মানুষ ১৯৯১ সালে ইসলামি শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। তখন বাঁশের খুঁটির উপর চাল লাগিয়ে ক্লাস শুরু করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে এলাকাবাসীর অর্থে পাঁচ কক্ষবিশিষ্ট একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করা হয়। কক্ষ সঙ্কট ও মাদরাসার পরিবেশ ভালো করতে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য মৃত আলহাজ আ. ছাত্তার সরদার ছয় কক্ষবিশিষ্ট দ্বিতল ভবন নির্মাণ করেন ২০০৬ সালে। পাকা ঘর নির্মাণ করা হলেও দুর্গতির শেষ হয়নি, বরং পুরনো টিনশেড ঘরের ছাউনির টিনে মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। বড় বড় ছিদ্র দিয়ে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি ভেতরে ঢোকায় ক্লাস পরিচালনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ফলে বছরের একটি বড় সময় মাদরাসাটির ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া দেওয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছেক। পাঁচ কক্ষের মধ্যে দু’টি কক্ষ সম্পূর্ণভাবে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে লেখাপড়ার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
আশ্চার্যজনক হলেও সত্য, দীর্ঘ ২৭ বছরের পুরাতন মাদরাসাটি সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহায়তায় সংস্কার বা নতুন ঘর নির্মাণের সুযোগ পায়নি। এ ছাড়া ৩১২ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে পরিচালিত মাদরাসায় সুপেয় পানির অভাব, চারটি ল্যাট্রিনের মধ্যে দুটি জরাজীর্ণ, সীমানা প্রাচীর না থাকা, বর্ষায় মাদরাসা মাঠ তলিয়ে থাকা এবং মাদরাসায় যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত পথের অভাব মাদরাসার ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য চরম কষ্টকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এত কিছুর পরও মাদরাসার বিভিন্ন পর্যায়ের পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক। ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসীর দাবি, মাদরাসাটির শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর করতে টিনশেড ঘরটি পুনঃনির্মাণ করা, মাঠ ভরাট, প্রাচীর নির্মাণ, স্যানিটেশন ব্যবস্থা কার্যকর এবং যাতায়াতের পথ সুপরিসর করা হোক। প্রাচীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুদীর্ঘ সময়ে সরকারি অর্থ বরাদ্দ ও বেসরকারি বা স্থানীয় সরকার বিভাগের সহায়তা বঞ্চিত থাকার বিষয়টি মানুষের মনে চরম কষ্টের জন্ম দিয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন